ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘বাংলাদেশকে ধর্মের মাপকাঠিতে ভিন্ন হতে দেখতে চাই না’

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২২ রবিবার

একদল অপশক্তি এই সুন্দর অসাম্প্রদায়িক দেশটিকে অশান্ত করার পাঁয়তারায় ব্যস্ত। বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বিষয়কে কেন্দ্র করে বর্তমানে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী। 

তিনি নিজের ফেসবুক পেইজে তিনটি ছবিসহ সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে একটি পোস্টে নিজের মতামত জানিয়েছেন। 

স্ট্যাটাসে চিত্রনায়ক লেখেন, “ধর্মীয় কোনো ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে নাক গলানো আমার কখনো ভালো লাগে না। তবে অশান্ত এই মনটাকে শান্ত করতে কিছু কথা না বলে পারছি না। ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার। জন্মসূত্রে পাওয়া নিজের ধর্মের প্রতি বিশ্বাস যেমন ব্যক্তিগত ব্যাপার, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ধর্মও ঠিক তেমনি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।” 

চলমান ঘটনাগুলোর প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে চলমান বেশ কয়েকটি ইস্যু বারবার আমার মনকে অশান্ত করে তুলেছে। টিপকাণ্ড, বিজ্ঞান স্যারের কারাবাস, হিজাব পরায় শিক্ষিকা দ্বারা ছাত্রীদের নির্যাতন: এ সবের শেষ কোথায়? কিংবা শুরুটাই বা কীভাবে? অন্যের ধর্মের প্রতি এতোটাই ব্যক্তিগত আক্রোশ নিয়ে এরা বসবাস করছে কি করে? 

“এমনও তো নয় যে, এসব কোনো পড়ালেখা না জানা, শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকা কোনো কুসংস্কারাছন্ন অন্ধকার জগতের মানুষেরা করছে। আধুনিক এই যুগে, যখন সবাই নিজ কাজ করে সময় পায় না, তখন তারা অন্যের ধর্ম নিয়ে ভাবার সময়ই বা পায় কখন?”

ধর্মের তাৎপর্য ব্যাখ্যায় তিনি লিখিছেন, “ইসলাম মানেই শান্তি, সনাতন ধর্ম কখনো ঘৃণা শেখায়নি, বৌদ্ধ ধর্মে তো জীব হত্যাই মহাপাপ, আর যিশু নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন শান্তি বাস্তবায়নে। তাহলে আমরা কেন শান্ত থাকতে পারছি না? আমরা কেন নিজের ধর্মের বার্তা শুনতে পাচ্ছি না? আমরা কেন এতো আক্রোশ নিয়ে বসে আছি।”

বাবা-মায়েদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এই চিত্রনায়ক লেখেন, “বাবা-মায়েদের কাছে অনুরোধ, সন্তানকে নিজেদের ধর্ম শেখানোর পাশাপাশি, অন্যের ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে শেখান। ছোটবেলা থেকেই যদি ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দেন, তবে ভবিষ্যৎ হবে সুন্দর। বাংলাদেশকে ধর্মের মাপকাঠিতে ভিন্ন হতে দেখতে চাই না। বাংলাদেশতো ভালোবাসার দেশ। মানুষগুলোর মন হোক ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।”

আরএমএ