নোবিপ্রবিতে পিএইচডির গল্পের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৮ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২২ সোমবার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) 'পিএইচডির গল্প’ প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলার জন্য পিএইচডি ডিগ্রী ধারীদের অভিজ্ঞতার গল্প শুনাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১১ এপ্রিল ২০২২) বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত উক্ত পিএইচডির গল্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.দিদার-উল-আলম।
প্রথম পর্ব ‘পিএইচডির গল্প’ তুলে ধরেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান ও নোবিপ্রবি সাইন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, পিএইচডি বিষয়ক এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একজন গবেষক পিএইচডি করতে গেলে নানা অজানা অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে যেতে হয়। তার এসব অভিজ্ঞতা নতুনদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। এ উদ্যোগ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। ভালো মানের থিসিস পেতে হলে অবশ্যই ভালো মানের গবেষক সৃষ্টি করতে হবে। মৌলিক বিষয় নিয়ে গবষণা করতে হবে এবং তখনই তা কাজে আসবে। নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা এ ধরণের কাজ অব্যাহত রাখবে এ প্রত্যাশা করছি। আয়োজকদের এবং আজকের প্রধান আলাচককে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
‘পিএইচডির গল্পের’ প্রথম পর্বে মূল আলাচক হিসেবে নিজের পিএইচডির অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। তিনি জাপানের উতসুনামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘রিসার্চ কোলাবরশনের মাধ্যমে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার দ্বার প্রতিনিয়ত উন্মোচিত হচ্ছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী জাপানসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি অর্জন করছে। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। গবেষণার ক্ষেত্রে শতভাগ সৎ থাকতে হবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। ব্যর্থতা আসবে কিন্তু সফলতার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, তবেই একজন সফল গবেষক হয়ে ওঠা সম্ভব।’
কেআই//