ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

বেড়েই চলেছে নদ-নদীর পানি, আতঙ্কে কৃষক (ভিডিও)

প্রতিনিধির খবর

প্রকাশিত : ১২:২৩ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল। পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জেও বেড়েই চলেছে ছোট নদ-নদীর পানি। আগাম বন্যার খবরে নিজেরাই বাঁধ মেরামতে নেমেছেন হাওরপাড়ের কৃষক। 

কিছুদিন গেলেই ঘরে উঠবে সোনার ফসল। কিন্তু সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে হতে পারে আগাম বন্যা। তাই বোরো ধানসহ নিচু এলাকার ফসল নিয়ে আতঙ্কে হাওরপাড়ের কৃষক। 

কৃষকরা জানান, “বছরে একটা ফসল হয়। খুব আশা করে অনেক জমিতে ফসল বুনেছিলাম। কিন্তু পানিতে সব শেষ।”

সুনামগঞ্জের যাদুকাটা, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কিছু পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত ধান কেটে নিতে অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে, অসময়ে বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার পানি বেড়েছে। রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে বোরো ধান, পেঁয়াজ, ভুট্টা, বাদাম, মরিচ, পটল, ঝিংগাসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। 

কৃষকরা জানান, “সবই নদীতে গেছে, এখন যে দুটা আছে তা হাঁস-মুরগির খাবার হবে। অর্ধেক ধান পাক আর অর্ধেক কাঁচা। কাঁটাটা তো নষ্ট হয়েছে আবার কিছু ধান কাটাই যাচ্ছে না।”

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার নদী তীরবর্তী এলাকার চরাঞ্চলে প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে পানি ঢুকে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুর রশীদ বলেন, “আসনে সরকারি প্রনোদনার যে কার্যক্রম রয়েছে আউশ মৌসুমে, সেখানে যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

কৃষিনির্ভর চরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয়রা।

এএইচ/