ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

খাদ্যে নেশাদ্রব্য, শিশুসহ অসুস্থ ১০

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩১ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নে একই বাড়ির ৩ পরিবারের সদস্যদের নেশাদ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তাদের ঘর থেকে মূল্যবান মালামাল লুটের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।

মঙ্গলবার ভোরে অচেতন অবস্থায় ১০ নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় চরমটুয়া ইউপির ব্রহ্মপুর গ্রামের সুরেশ মাস্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থরা হচ্ছেন, ওই বাড়ির নরেশ চন্দ্র চৌধুরী, শংকর চৌধুরী, অনিক চৌধুরী, অন্তু চৌধুরী, শেফালি রানী দেবী, অর্চনা রানী, সঞ্জিতা রানী, চম্পা রানী, নমিতা রানী ও সঞ্জয় চৌধুরী। তারা প্রত্যেকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ওই বাড়ির মাস্টার পিযুষ চৌধুরী জানান, তাদের বাড়িতে মোট ৫টি পরিবার রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই একে অন্যের আত্মীয়-স্বজন। বেশিরভাগ পরিবারের রান্না ঘর ও বসতঘর আলাদা। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সন্ধ্যায় রান্না শেষ করে রান্না ঘরের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে সবাই বসত ঘরে চলে যায়। অন্যদিনের মত রাত ১০ থেকে ১১টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে সবাই যে যার মত শুয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, ভোর ৪টার দিকে তার চাচাতো ভাই সঞ্জয় চৌধুরী অবচেতন অবস্থায় তাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। পরে দ্রুত তিনি তার ঘরে লোকজন তাদের ঘরে গিয়ে সবাই এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখেন। অনেক ডাকাডাকির পরও কারো কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পাঁচ পরিবারের মধ্যে নরেশ চৌধুরী, পরেশ চৌধুরী ও গণেশ চৌধুরীর পরিবারের প্রত্যেকেরই একই অবস্থা। ওই তিন পরিবারের নারী ও শিশুসহ মোট ১০ জন অচেতন অবস্থায় ছিলেন। পরে ভোরে তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে থাকা খাবারের সঙ্গে দুর্বৃত্তরা নেশাদ্রব্য মিশিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই তিনজনের ঘর থেকে মূল্যবান মালামাল লুট হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, তাদেরকে নেশাদ্রব্য জাতীয় কোন দ্রব্য খাওয়ানোর কারণে সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। বর্তমানে তারা প্রত্যেকে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে ৫-৬ জন অনেকটা সুস্থ হয়েছেন, অন্যরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেআই//