ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বায়ার্নকে কাঁদিয়ে শেষ চারে ভিয়ারিয়াল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার

বায়ার্নকে বিদায় করে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ভিয়ারিয়াল। মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছে। প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে জেতা ভিয়ারিয়াল ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে।

ম্যাচ জুড়ে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে আধিপত্য ছিল বায়ার্নের। কিন্তু গোলের জন্য তাদের ২৩ শটের কেবল চারটি ছিল লক্ষ্যে। আর ভিয়ারিয়ালের চার শটের একটি ছিল লক্ষ্যে, সেটি ৮৮তম মিনিটে। 

তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে থেমে গেল বায়ার্ন মিউনিখের পথচলা। আর ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ভিয়ারিয়াল।

প্রথম লেগের জয়ের ফলে বায়ার্নের মাঠে গোলশূন্য ড্র হলেই চলত ভিয়ারিয়ালের। প্রতিপক্ষ যখন বায়ার্ন, তখন আর সে পথে হাঁটেনি দলটি। বায়ার্নও চেষ্টা কম করেনি। তবে প্রধামার্থে আলোর মুখ দেখেনি কোন দলই। 

বিরতির আগে দুটি সুযোগ পায় সফরকারীরা। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি প্রথম লেগের একমাত্র গোলদাতা দানজুমা। যদিও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। আর দুরূহ কোণ থেকে মরেনোর শট পাশের জালে লাগে।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হারান বায়ার্নের উপামেকানো। ডি-বক্সে সানের কাটব্যাক ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। তবে ৫২তম মিনিটে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বক্সের ভেতর সুযোগ পেয়েই আগুনে এক শটে গোল পেয়ে যান রবার্ট লেভানদোভস্কি। টমাস মুলারের পাস ডি-বক্সে পেয়ে পোলিশ ফরোয়ার্ডের শট পাও তরেসের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে গিয়ে জালে জড়ায়।

দুই লেগ মিলিয়ে তখন ১-১ সমতা। দারুণ কিছুর আশায় স্বাগতিকরা। ৭২তম মিনিটে দলকে শেষ চারের পথে এগিয়ে নেওয়ার বড় সুযোগ হাতছাড়া করেন মুলার। হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অভিজ্ঞ জার্মান ফরোয়ার্ড।

ম্যাচ যাচ্ছিল অতিরিক্ত সময়ের দিকে। কিন্তু দুই মিনিট বাকি থাকতে পাল্টা আক্রমণে বায়ার্নের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেয় ভিয়ারিয়াল। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে দারুণ এক গোল করে বসেন স্যামুয়েল চুকওয়েজি। সেই গোলই বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় বায়ার্নের।

পরের ছয় মিনিটে রক্ষণ সামলে রেখে উল্লাসে ফেটে পড়ে সফরকারীরা। 

সেমিফাইনালে লিভারপুল অথবা বেনফিকার মুখোমুখি হবে উনাই এমেরির দল।

এএইচ/