ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

তিন কিস্তিতে ঘুষ নিয়েও মন ভরেনি মেয়রের (ভিডিও)

আহম্মদ বাবু, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার

তিন কিস্তিতে ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন মানিকগঞ্জের মেয়র। সবশেষ ২৮ লাখে মন ভরেনি তার। তাই ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে কাজের বিল আটকে দিয়েছেন মেয়র। 

২০১৯ সালে যখন রাস্তার কাজ হয় তখন মানিকগঞ্জের মেয়র ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম। দেড় বছর পর নির্মাণ কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নতুন মেয়র রমজান আলী। ঠিকাদারের কাছে চাইলেন উৎকোচ। আর সেটি দিতে না পারায় বিল আটকে দিলেন মেয়র রমজান।

এ রাস্তার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলজিআরডি সড়কের মান যাচাই করে ছাড়পত্র দিয়েছে বেশ আগে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিও করেছে মান পরীক্ষা। এতোদিন পর তাহলে কেনো আটকে দেয়া হলো বাকি বিলের টাকা? ঠিকাদার বলছেন, মেয়র রমজান ঘুষ হিসেবে যে অংক চেয়েছিলেন অতোটা দিতে পারেন নাই তিনি। 

ঠিকাদার আর মেয়রের কথাই স্পষ্ট হলো যে, ২৮ লাখ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এতো কম টাকায় খুশি হননি তিনি। 

মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলী বলেন, “কোন ব্যক্তি যদি প্রমাণ দিতে পারে। এই মানিকগঞ্জের সমস্ত মানুষ জানে ২৩ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিল, সেই টাকা জনগণের সামনে ফিকে ফেলে দিয়েছি।”

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মানিকগঞ্জ পৌরসভার কাছে এখনও পাবে ৩ কোটি। মেয়রের মতো এই টাকার ভাগ বসাতে চেয়েছেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, “চেকের মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার ১০ লাখ টাকার সব নিয়েছেন মেয়র রমজান আলী। আমি কিছু পাইনি।”

নির্বাহী প্রকৌশলী জানালেন, মেয়র যা করেছেন তা পুরোটাই অনিয়ম এবং শাস্তিযোগ্য।

মেয়রের দাবি, কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে ব্যক্তি নামে গ্রহণ করা দুটি চেকের কপি দেখালে উত্তর হারিয়ে ফেলেন তিনি।

মেয়র রমজান বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করতে চাই ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে যদি দেখাতে পারেন, যে শাস্তি দিবেন তা মাথা পেতে নিব। যদি যেয়েও থাকে তাতে শুভঙ্কারের বড় একটা ফাঁকি আছে।”

পৌরসভার দুর্নীতি ও ঘুষগ্রহণের প্রমাণ একুশে টেলিভিশনকে দেয়ায় ঠিকাদারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন মেয়র রমজান। 

এএইচ/