ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে মুখর জাবির চারুকলা প্রাঙ্গণ

সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:০৯ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার

বাঙালির সবচেয়ে বড় সর্বজনীন উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। মাত্র কয়েক ঘন্টা পর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে আনন্দে মাতবে সারা দেশ। আর বর্ষবরণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আনুষ্ঠানিকতা হলো জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা। এর প্রস্তুতিতে মুখর চারুকলা প্রাঙ্গণ।

‘নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’ প্রতিপাদ্যে বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা রাজপথে নামতে বাকি আর মাত্র ঘন্টা।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেল মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে মুখর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রবেশ পথের মুখে বারান্দার মধ্যে প্রস্তুতির কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা। সুযোগ পেলেই এই কর্মযজ্ঞে হাত মেলাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত কয়েক দিনে ওয়াটার কালার অ্যাক্রেলিকে অনেক চিত্রকর্ম করা হয়েছে। সেগুলোই এখানে ডিসপ্লে করা হচ্ছে বিক্রির জন্য। এখান থেকেও মঙ্গল শোভাযাত্রার কিছু ফান্ড কালেক্ট হবে। 

পাশেই সাজানো রয়েছে বাঘ, সিংহ, হাতি, পেঁচা,মাছ, ময়ূর, পাখি, ফুল, লতাপাতাসহ নানা মোটিফের সরাচিত্র। নানা কিছুর লোকজ ফর্মের মুখোশে রং করতে ব্যস্ত একদল শিক্ষার্থীরা।

চারুকলার অনুষদের মুল ফটকের সামনেই চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল মোটিফগুলোর কাজ। সেখানে দাঁড়িয়ে আছে ময়ূর ও মাছের কাঠামো।

চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর মোজাম্মেল হক বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবছরই আমাদের একটি প্রতিপাদ্য থাকে। আমরা সময়ের সঙ্গে, পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটা প্রতিপাদ্য তৈরি করি। পুরো আয়োজনটাও থাকে মোটামুটি সেটা ধরেই।

জাবির চারুকলা বিভাগের সভাপতি ফারহানা তাবাসসুম বলেন, ‘নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিনও মর্ম মুছায়ে’ প্রতিপাদ্যের মধ্য দিয়ে করোনার কারণে যে বিশেষ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পড়েছিলাম, জীবনযাত্রা, চিন্তা-ভাবনা, দর্শন- এসব কিছুর মধ্যে যে মলিনতার ছাপ পড়েছিল তা থেকে মুক্ত হয়ে আবার নির্মল পরিবেশ আমরা চাইছি এবং নির্মল ভবিষ্যতের দিকে এগোতে চাইছি।

এবার মঙ্গল শোভাযাত্রা সকাল ১০টায় পুরাতন কলা ভবনের সামনে দিয়ে শুরু হয়ে জাবির শহীদ মিনার চত্বর প্রদক্ষিণ করে আবার পুরাতন কলা ভবনের সামনে এসে শেষ হবে|

এএইচ/