নানা প্রতিকূলতায় প্রাচীন ঐতিহ্য শীতল পাটি (ভিডিও)
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:০৬ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য শীতল পাটি টিকে আছে নানা প্রতিকূলতায়। কাঁচামালের অভাব আর প্লাস্টিক পাটির সহজলভ্যতায় কমছে ব্যবহার। ক্রেতা স্বল্পতায় ন্যায্যমূল্য না পেয়ে সিরাজগঞ্জের জামতৈলের পাটিয়ালরা ঝুঁকছেন অন্য পেশায়।
ঝাঐল, চাঁদপুর, চুনিয়াহাটি, কালিয়া এবং হরিপুর গ্রামগুলো মূলত শীতল পাটির গ্রাম নামে পরিচিত। গ্রামের চারপাশ জুড়ে বেতের মাঠ।
সন্তোষ চন্দ্র ভৌমিক ও তার স্ত্রী রাজনন্দিনী ভৌমিক ছোটবেলা থেকেই জড়িত পাটি তৈরিতে। নানা নকশায় নিখুঁত বুননে পার করছেন দিন-রাত।
তারা জানান, “ছেলে বেতন এনে দেয়, পরে সেদ্ধ করে শুকিয়ে পাটি বুনি। বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী সব জায়গায় খোশাবুদি করতে হয়েছে এখন তারাই ফোন করে। দাদা পাটি দেন দেন, আছে নাকি। এমন পরিস্থিতি।”
পূর্বপুরুষের পেশাকে বাঁচাতে চান অনেকেই। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির বাজারে স্বল্প মজুরিতে এ কাজ করতে চান না বেশিরভাগই।
পাটি কারিগররা বলেন, “সকাল থেকে শুরু রাত ১২টা পর্যন্ত নারী-পুরুষ একই কাজ করি। সেই তুলনায় টাকা পাই না, সংসার চলে না। তাই এর মধ্যে থেকে বের হয়ে অনেকেই অন্যান্য কাজে জড়িত হচ্ছে। প্লাস্টিকের জন্যই শীতল পাটির ব্যবসাটা খারাপ।”
অনেকটাই হুমকির মুখে শিল্পটি। কাঁচামালের যোগান আর দেশের বাইরে রপ্তানিতে সরকারের সহযোগিতা চাইলেন পাটিশিল্পীরা।
পাটিশিল্পীরা জানান, “এই পাটিগুলো বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমাদের ঐতিহ্যটা ধরে রাখা যেত।”
পাটি শিল্পের বিকাশে সব ধরনের সযোগিতা করা হবে, জানালেন এই জনপ্রতিনিধি।
কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সবুজ বলেন, “এইটাকে কিভাবে আরও বাজারজাত এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেই ভাবনা আমাদের রয়েছে।”
সমস্যা কাটিয়ে ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ফের প্রসার পাক আবহমান গ্রাম-বাংলার শীতল পাটি, এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এএইচ/