৩৩ বছর লুকিয়ে থেকেও ধরা পড়লেন ধর্ষণের আাসামি!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৪:৫৩ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার
ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন। প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর জেলে ফিরে না গিয়ে গা ঢাকা দেয় সে। দিল্লিতে ভুয়া পরিচয়ে ৩৩ বছর কাটানোর পর অবশেষে মঙ্গলবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল আসামি রঘুনন্দন সিংহ।
ঘটনাচক্রে রঘুনন্দন ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরসের বাসিন্দা। যে হাথরসে ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই হাথরসেরই পুরনো একটি ধর্ষণের ঘটনায় জেল খাটছিল রঘুনন্দন। স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লিতে ভুয়া পরিচয়ে থাকছিল সে। আত্মীয়রা ভেবেছিলেন রঘুনন্দনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ তার আবির্ভাবে স্তম্ভিত রঘুনন্দনের আত্মীয়রা। এমনকি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরাও।
হাথরসের পুলিশ সুপার বিনীত জায়সবাল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালে হাথরসে একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিল রঘুনন্দন। ১৯৮৭-তে দোষী সাব্যস্ত হয় সে। স্থানীয় আদালত রঘুনন্দনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ১৯৮৯ সালে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে আবেদন জানায় সে। আদালত রঘুনন্দনের প্যারোলে মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করে।
সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে রঘুনন্দন তার ঘরবাড়ি, সম্পত্তি সব বিক্রি করে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। নতুন পরিচয়ে দিল্লির বুরারিতে গিয়ে আশ্রয় নেয় সে। সেখানে একটি পোশাকের দোকানে ভুয়া পরিচয়ে কাজ নেয়। প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আসামি রঘুনন্দন জেলে না ফেরায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় পুলিশ। তখন হাই কোর্ট রঘুনন্দনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ হন্যে হয়ে রঘুনন্দনের খোঁজ চালাচ্ছিল। তাকে ধরতে একটি বিশেষ দল গঠন করেছিল পুলিশ। গ্রামে গিয়ে রঘুনন্দনের যখন তল্লাশি শুরু করে পুলিশ, পঞ্চায়েত প্রধান এবং গ্রামের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা তাদের জানান, রঘু মারা গিয়েছে। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হয়। তারা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছিল। এবং একই সঙ্গে রঘুর ঘনিষ্ঠদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছিল।
তবে রঘুর আত্মীয়রা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ১৯৮৯ সালে রঘু হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়ার পর থেকে তার আর কোনও খবর পাননি তারা। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের ধারণা হয় রঘু মারা গিয়েছেন।
গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় দিল্লির বুরারিতে রঘুর মতো এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। সেই খবর পেয়েই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পর তারা দিল্লি পুলিশের সহযোগিতায় বুরারিতে অভিযান চালায়। তখনই রঘুনন্দন পুলিশের জালে ধরা পড়ে। সূত্র: আনন্দবাজার
এসি