ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

একুশে টেলিভিশন গণমাধ্যমের জন্য অনুকরণীয়: রাষ্ট্রপতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২২ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১১:৫৪ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার

একুশে টেলিভিশনের ২৩তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে চ্যানেলটির পরিচালনা পর্ষদ, কলাকুশলী সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, টেলিভিশন বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যম। টেলিভিশন কেবল সংবাদ প্রচার করে না, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে জনমত সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানমালা প্রচারের পাশাপাশি জাতীয় সংস্কৃতি ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতেও টেলিভিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

“সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি মালিকপক্ষ ও গণমাধ্যমকর্মীসহ সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা একান্ত অপরিহারর্য। পাশাপাশি দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে আমাদের সমাজব্যবস্থা ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও বস্তুনিষ্ঠ অনুষ্ঠান প্রচারে এগিয়ে আসতে হবে। গণমাধ্যমসমূহ দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অধিকতর দায়িত্বশীলতার সাথে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “একুশে টেলিভিশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অনুষ্ঠান ও সংবাদ পরিবেশনসহ সার্বিক কার্যক্রমে আধুনিকতা ও নান্দনিকতার এক নতুন যুগের সূচনা করে, যা পরবর্তীতে অনেক গণমাধ্যমের জন্য অনুকরণীয় হয়ে ওঠে।’’ 

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করে বলেন, “সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অবিচল থেকে একুশে টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সংবাদ ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি বাঙালির হাজার বছরের বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য লালন ও তা বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে একুশে টেলিভিশন আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”

২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল যাত্রা করে দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন। 

এএইচএস/এসি