‘উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে একুশে টেলিভিশন কার্যকর ভূমিকা রাখবে’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৮ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১২:১২ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বাংলা নববর্ষ এবং একুশে টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এক বার্তায় তেইশতম বর্ষপূর্তির ক্ষণে চ্যানেলটির পরিচালনা পর্ষদ, সাংবাদিক, কলাকুশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি। ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল যাত্রা করে দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন।
শিরীন শারমিন বলেন, “গণতন্ত্রের নিরন্তর বিকাশ ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমূহের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি সাধনে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গঠনমূলক বিশ্লেষণ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে টেলিভিশন শুধু বিনোদনের মাধ্যমই নয় বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে দেশের মানুষের উন্নত মনন গঠনে টেলিভিশন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
এসব ক্ষেত্রে একুশে টেলিভিশনের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন স্পিকার।
তিনি বলেন, “জাতির ক্রান্তিকালে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। করোনা অতিমারির প্রাদুর্ভাবে এই সময়ে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব কঠিন সময় পার করছে। এই কঠিন সময়েও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাহসী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে একুশে টেলিভিশন। তাছাড়া জন্মলগ্ন থেকেই একুশে টেলিভিশন তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সংবাদে জাতীয় সংসদের বিভিন্ন কার্যক্রম গুরুত্বের সাথে তুলে ধরছে।’’
ভবিষ্যতেও একুশে টেলিভিশন এই ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্পিকার।
গঠনমূলক অনুষ্ঠান ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে একুশে টেলিভিশন আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশাও জানান তিনি।
এসবি/এএইচএস /এসি