ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

একুশে টেলিভিশনের বর্ষপূর্তি

গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৮ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১২:১০ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার

একুশে টেলিভিশনের ২৩তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলাকুশলী, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীসহ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

দেশের প্রথম বেসরকারি এই চ্যানেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ও উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

গণমাধ্যমের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুল ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল চালুর অনুমোদন দেই। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ৪৫টি টেলিভিশন, ২৮টি এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও পরিচালিত হচ্ছে, যার বেশিরভাগই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অনুমোদন দিয়েছে। 

“আমরা তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯' প্রণয়ন করে এর অধিক্ষেত্রাধীন তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪ এবং জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭ প্রণয়ন করেছি। আমরা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪' প্রণয়ন করে এর আওতাধীন এটি প্রতিষ্ঠা করেছি। এই তহবিলে আমরা ২০১৮ সালে ২০ কোটি টাকা প্রদান করেছি।”

তিনি আরো বলেন, “২০১৮ সালের ১১ই মে বাঙালি জাতির একটি চিরস্মরণীয় দিন, এ দিনে আমরা মহাকাশে 'বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১' উৎক্ষেপন করেছি, যার ফলে দেশে টেলিভিশন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। বর্তমানে দেশের সব চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা মহাকাশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রশিক্ষিত মিডিয়াকর্মী সৃষ্টি এবং এক্ষেত্রে গবেষণার জন্য আমরা 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিল (সংশোধন), ২০১৯ সংসদে পাস করেছি।”

প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “করোনা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান বা সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচরণা চালাতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে দেশের মানুষের উন্নত মনন গঠনে এবং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানা অপতৎপরতা দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অবদান রাখতে হবে।”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একুশে টেলিভিশন সঠিক তথ্য-উপাত্ত পরিবেশন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচার ও রুচিশীল অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে দেশজ শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। 

২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল যাত্রা করে দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন। 

এএইচএস/এসি