ড্র করেও শেষ চারে লিভারপুল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে বেনফিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র করেছে লিভারপুল। তবে প্রথম লেগে ৩-১ ব্যবধানে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারে পা রেখেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
বুধবার রাতে অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগের একাদশে সাতটি পরিবর্তন এনে খেলতে নামে লিভারপুল। বেঞ্চে রাখা হয় মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানেদের।
ম্যাচে ত্রয়োদশ মিনিটে গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম শট নেয় বেনফিকা। এভেরতনের প্রচেষ্টা পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। অষ্টাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকরা। জেমস মিলনারের প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক ওদেসিয়াস ভ্লাখোদিমস।
দুই মিনিট পরই মেলে সাফল্য। কসতাস সিমিকাসের কর্নারে হেডে দলকে এগিয়ে নেন ইব্রাহিমা কোনাতে। ৩২তম মিনিটে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। বক্সে ঢুকে আলিসনকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান গনসালো রামোস। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। জটার পাসে কাছ থেকে বল জালে পাঠান ফিরমিনো। এরপরই জটাকে তুলে সালাহকে ও জর্ডান হেন্ডারসনের জায়গায় ফাবিনিয়োকে নামান লিভারপুল কোচ।
১০ মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান ফিরমিনো। সিমিকাসের দারুণ ফ্রি-কিকে ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
৭৩তম মিনিটে ব্যবধান কমান রোমান ইয়ারেমচুক। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে আলিসনকে কাটিয়ে গোলটি করেন তিনি। সাত মিনিট পর সমতা টানেন নুনেস। সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে আলিসনকে পরাস্ত করেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে সালাহর পাস থেকে বল জালে পাঠান দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা মানে। তবে অফসাইডে বাঁশি বাজান রেফারি। যোগ করা সময়ে বেনফিকার নুনেস জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।
তাতে ৩-৩ গোলে শেষ হয় ম্যাচটি। ঘরের মাঠে জিততে না পারলেও মৌসুমে চার শিরোপার সবগুলো জয়ের পথেই থাকল লিভারপুল।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংলিশ ক্লাবটির প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল। আগামী ২৭ এপ্রিল প্রথম লেগে অ্যানফিল্ডে খেলবে ইংলিশ দলটি। এরপর ৪ মে ফিরতি লেগ হবে ভিয়ারিয়ালের মাঠে।
এএইচ/