বিশ্বসেরা তিন প্রতিষ্ঠানে ডাক পেলেন নোবিপ্রবির কাওছার
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২২ শনিবার
বিশ্বসেরা তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট, আমাজন এবং আইবিএমে ডাক পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী আহমেদ কাওছার। ই-মেইলের মাধ্যমে কাওছারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে তিনটি প্রতিষ্ঠানে ডাক পেলেও কাওছার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেটে অবস্থিত আমাজনের হেড কোয়ার্টারে অ্যাপ্লায়েড সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করবেন বলে জানান তিনি। চলতি বছরের জুনে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার।
আহমেদ কাওছার নোবিপ্রবির ২০১৪-১৫ বর্ষের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টিভেন্স ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে মেশিন লার্নিংয়ের উপর পিএইচডি করছেন।
একই সঙ্গে বিশ্বসেরা তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ডাক পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নরমালি সবাই যেভাবে আবেদন করে আমিও সেভাবে আবেদন করি। পরে ভার্চুয়াল্লি ইন্টারবিউ হয়। তাতে বিষয় ছিল কোডিং, মেশিং লার্নিং, ডিপ লার্নিং, ম্যথম্যাটিক্স, স্টাটিস্টিক্স।
তিনি আরও বলেন, FAANG- Facebook, Amazon, Apple, Netflix, Google-এর একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। আমার মত অনেকেই এই স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু ফ্যাং-এর এক্সেপ্ট রেট ২-১০% মাত্র। তাদের মিলিয়ন এপ্লিকেশন জমা পড়ে সেখান থেকে অল্প কিছু সিলেক্টেড করা হয়। আমিও তাদের মধ্যে একজন। সবার কাছে কৃতজ্ঞ যারা আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছিলেন।
কাওছারের এই অসামান্য অর্জনে পুরো নোবিপ্রবিতে যেন খুশির নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলেই কাওছারের এই সফলতায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, “কাওছারের এই সফলতায় আমরা সত্যি মুগ্ধ। তার এই অর্জনে নোবিপ্রবি পরিবার গর্বিত। আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এর চেয়ে খুশির খবর আর কি হতে পারে!”
উল্লেখ্য, এর আগে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পদক পান কাওছার। ভারত থেকে সায়েন্টিস্ট অব দ্য ইয়ার, সিংগাপুর, মরক্কো থেকে শ্রেষ্ঠ গবেষণা পদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে শ্রেষ্ঠ গবেষণা পদক ও ন্যাশনাল আইসিটি পদক পান তিনি।
এছাড়াও রবি আর ডেঞ্জারে চ্যাম্পিয়ন হন কাওছার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর তার ৫২টি গবেষণাপত্র বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
এএইচ/