ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রামের পাইকারি মাছ ব্যবসায়িরা

প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ১ জুলাই ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৬:৩১ পিএম, ১ জুলাই ২০১৭ শনিবার

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রামের পাইকারি মাছ ব্যবসায়িরা। পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার আর চাঁদাবাজীর অভিযোগ করেছে তারা। এ’ অবস্থায় ৪০ বছরের পুরনো পাইকারি বাজারে মাছ বেচাকেনার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সামুদ্্িরক মাছের পাইকারি ব্যবসা।
দীর্ঘ চার দশক ধরে প্রতিদিন সকালে মাছ ব্যবসায়িদের আনাগোনায় মুখরিত হতো চট্টগ্রামে দেশের সামুদ্রিক মাছের একমাত্র ব্যবসা কেন্দ্র ফিশারী ঘাট।
দেশের দূর দূরান্তের ব্যবসায়িরাও এখানে ভিড় জমাতেন সামুদিক মাছ কিনতে। গড়ে প্রতিদিন  লেনদেন হতো ১০০ কোটি টাকার বেশি।
সম্প্রতি কর্ণফুলী নদীর তীরে নতুন ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে তোলা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় ব্যবসায়িদের মধ্যে। তাদের একাংশ অবস্থান নেয় কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে তোলা ব্যবসা কেন্দ্রের পক্ষে। অপর অংশ ফিরিঙ্গিবাজার ফিশারি ঘাটে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেয়। এ’ নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে ফিশারি ঘাটে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ বিক্রির উপর বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা জারি করে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ফিশারী ঘাটের বিভিন্ন আড়তে মাছের বেচাকেনা।
এদিকে, পরস্পর বিরোধী অবস্থানের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ার কথা জানালেন ব্যবসায়িরা। সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির একাংশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ করেছেন তারা।
তবে, চাঁদাবাজীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতারা। ব্যবসায়িক সুবিধার জন্যই ঘাট সরানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
১৯৮৭ সালে জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ইকবাল রোডে ফিশারি ঘাটের বর্তমান জায়গাটি বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর থেকে ওই বাজারেই গড়ে উঠে সামুদ্রিক মাছের পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র।