ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

স্বাধীনতার নিরন্তর প্রেরণা মুজিবনগর সরকার (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২২ রবিবার

মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মুজিব নগর সরকার ইতিহাসের অনন্য এক অধ্যায়। একাত্তরের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় শপথ নেন এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। এর আগে ১০ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সুদূরপ্রসারী সাংবিধানিক পদক্ষেপই ছিল মুজিবনগর সরকারের শপথ। 

২৫ মার্চ পাক হানাদাররা নিরস্ত্র বাঙালির উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালালে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। তবে তা ছিলো একেবারেই বিচ্ছিন্ন। এ অবস্থায় যুদ্ধ পরিচালনায় সরকার গঠন করা অনিবার্য হয়ে ওঠে। 

অবশেষে ১০ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে গঠন হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশের মাটিতেই শপথ নেয় ওই সরকার।   

সরকারের অন্য সদ্যরা হলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া খন্দকার মোশতাক, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন মজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য। প্রধান সেনাপতি নিয়োগ দেয়া হয় কর্নেল এম এ জি ওসমানকে। সরকারের শপথ গ্রহণের পর পরই শুরু হয় সংগঠিত যুদ্ধ।

জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, “এটা দিয়ে একটা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে অন্ততপক্ষে তুলে ধরা গেল যে, নির্যাতনের মুখে গঠিত হয়েছে একটি প্রবাসী সরকার এবং এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শত্রুমুক্ত করেছে বাংলাদেশকে। কাজেই এটা মূল ভিত্তি।”

দক্ষতার সাথে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়সহ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে এই সরকার।

আবেদ খান আরও বলেন, “একদিকে ছাত্ররা সংগঠিত হয়েছে, একদিকে মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টরগুলো ভাগ হচ্ছে। যদি মুজিবনগর সরকার গঠিত না হত তাহলে ভিত্তিটা কি থাকতো। এই ভিত্তিটা পরিষ্কারভাবেই হচ্ছে একটা সাংগঠনিক কাঠামো। এই সাংগঠনিক কাঠামোটাই শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে একটা সংবিধান উপহার দিতে পেরেছে। কাজেই ওটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর ছিল এই সরকার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরোলেও বাংলাদেশের এগিয়ে চলায় নিরন্তর প্রেরণা মুজিবনগর সরকার। 

এএইচ/