সড়ক দুর্ঘটনায় বেড়েছে মৃত্যুর হার (ভিডিও)
মাহমুদ হাসান
প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১১:৪২ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২ সোমবার
এক মাসের ব্যবধানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গেল মার্চে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৫৮৯ জনের। এদের মধ্যে ৯৬ জন শিশু আর নারী ৬১ জন। এজন্য অদক্ষ চালক, গাড়ির দ্রুত গতি আর সড়কের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু মার্চ মাসেই সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৫৮৯ জনের। এর মধ্যে ২২১ জন মারা গেছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। আর পথচারি নিহতের সংখ্যা ১৬২ জনের।
একমাসের ব্যবধানে মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মোট মৃত্যুর ৭৮ দশমিক ৬০ শতাংশই ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ।
সড়কের অবকাঠামোর ত্রুটি, অদক্ষ চালক ও গাড়ির অতি গতির কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে প্রাণ ঝড়ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনাবিদ খোন্দকার মো. আনসার হোসেন বলেন, “অন্যান্য জায়গায় যখন এক্সপ্রেস হয়ে যায় সেই এক্সপ্রেস ওয়েগুলো ট্রাফিক ওরিয়েন্টট হয়। অর্থাৎ ট্রাফিকের স্পিড কন্টিনিউ রাখা এবং ট্রাফিক যেন না থেমে ঘুরতে পারে সেজন্য হাইওয়ে ডিজাইন করা হয়। আমাদের এখানে ওই কনসপ্টে করা হয় না। আমরা লোকাল গাড়ি এবং লোকাল মানুষকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছি, সে কারণেই এই সমস্যাটির সৃষ্টি।”
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নীতিনির্ধারকদের কার্যকর উদ্যোগও দৃশ্যমান নয়। সড়ক পরিবহন আইন-বাস্তবায়নের উদ্যোগও থমকে আছে। এসুযোগে সড়কে নৈরাজ্য বাড়ছে, আর ঝরছে মানুষের প্রাণ।
বুয়েট এআরআই সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, “বিভিন্ন দেশে প্রথম অপরাধী দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে তার শাস্তি দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর ফলে যিনি অপরাধ করছেন তার উপর একটা প্রেসার থাকে কিন্তু এটা আমাদের দেশে করা হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “সফটওয়ার আপটেডের মাধ্যমে পুলিশের যে পওস মেশিন রয়েছে সেটার সাথে বিআরটির ডাটাবেজকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে একজন চালক অপরাধ কয়বার করছেন এটা যদি তারা দেখতে পারেন তাহলে শাস্তির পরিমাণটা বাড়ান সম্ভব। এই পদ্ধতিটা আমাদের চালু করা প্রয়োজন, যাতে একজন মানুষ একই অপরাধ বার বার করার জন্য উৎসাহ না পায়।”
জনসচেতনতার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর হবার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
এএইচ/