এক চিমটি ধুলার দাম ৪ কোটি টাকা!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২ সোমবার
শুনে অবাক হবার মতই ঘটনা! ধুলার দাম কী এত হতে পারে? হয়ত বা বেশিরভাগের উত্তর হবে না, কিন্তু এ যে চাঁদের ধুলা। তাই এই এক চিমটি ধুলার দাম ৫ লাখ ৪ হাজার ৩৭৫ মার্কিন ডলার! বাংলাদেশি মুদ্রায় যায় চার কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি।
গত বুধবার এক নিলামে এই মূল্যে বিক্রি হয়েছে চাঁদের 'এক চিমটি' ধুলা। নাসার সংগ্রহে থাকা চাঁদের ধুলার নমুনা বিক্রির জন্যই মূলত আয়োজিত হয়েছিল নিলামটি।
জানা যায়, প্রথমবারের জন্য পৃথিবীর প্রতিনিধি হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন অ্যাপোলো-১১ অভিযানের সদস্য নীল আর্মস্ট্রং। তিনিই নাকি ফেরার পথে এনেছিলেন এই ধুলো। এতদিন সেই ধুলার নমুনা রাখা ছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কাছে।
তবে এ দামে নাকি খুশি নন উদ্যোক্তারা। তাদের আশা ছিল, আরও বেশি দামে বিক্রি হবে এই ধুলা। তাদের ধারণা ছিল, নিলামে চাঁদের ধুলোর দাম উঠবে ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ ডলার। কিন্তু বাস্তবে তার অনেকটা আগেই থেমে যান ক্রেতারা। অগত্যা 'লোকসান' মেনেই ধুলা বিক্রি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ!
নীল আর্মস্ট্রং ও তার সঙ্গীরা চাঁদ থেকে মাটি হিসেবে যে নমুনা সংগ্রহ করছেন, তা আদতে পাথুরে। বালুর মতো মাটি এতটাই মিহি যে তা অনেকটা পাউডারের মতো। চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করার পর তা একটি নির্দিষ্ট ব্যাগে ভরে সিল করে দেন নীল আর্মস্ট্রং।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত, চাঁদের পিঠে কোনো বাতাস নেই। কিন্তু সেখানে সৌরবায়ু নিয়মিত আছড়ে পড়ে। এর ফলে এক বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক শক্তিক্ষেত্র তৈরি হয়। যার প্রভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা পদার্থগুলো মিহি বালুকণার মতোই মসৃণ হয়ে যায়। একই কারণে এই মাটি আশপাশের সমস্ত কিছুর সঙ্গে আটকে যায়। যে মহাকাশচারীরা চাঁদের পিঠে অবতরণ করেছিলেন, তাদের পোশাকেও এই ধুলো লেগে গিয়েছিল!
সূত্রঃ এই সময়
আরএমএ