ঢাকা, বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন: রায়হান হত্যা মামলার বিচার শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২ সোমবার

নিহত রায়হান ও আসামিদের দুজন

নিহত রায়হান ও আসামিদের দুজন

দেড় বছর পর শুরু হয়েছে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার বিচারকার্য। সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহিমের আদালতে এ মামলার চার্জ গঠনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিচার কার্য। আগামী ১০ মে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নওশাদ আহমদ চৌধুরী বলেন, দণ্ডবিধি ৩০২, ২০১, ৩৪ ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনের ১৫’র (২) ও (৩) ধারায় মামলার চার্জ গঠন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ গঠন করেছেন। আগামী ১০ মে মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। আমরা আশা করছি সাক্ষীরা যদি স্বাধীনভাবে সাক্ষ্য দেন, তাহলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। মামলায় অর্ধশতাধিক সাক্ষী রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে অভিযোগ গঠনকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার প্রধান আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচ আসামি। তবে এ মামলায় এখনও পলাতক রয়েছেন হত্যার আলামত নষ্ট করার দায়ে অভিযুক্ত কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।
 
আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে উপস্থিত জনতা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করে স্লোগান দেয়া শুরু করেন। 

এদিকে অভিযোগ গঠনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রায়হানের মা সালমা বেগম। তিনি বলেন, আমার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক আসামির ফাঁসি হোক, এটাই প্রত্যাশা।
 
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর দিবাগত রাতে সিলেট নগরীর কাস্টঘর এলাকা থেকে তুলে এনে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের পর ১১ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন রায়হান আহমদ। পরদিন নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের গত ৫ মে বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই। চার্জশিটে আলামত নষ্ট করার দায়ে কথিত সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হয়। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।

এনএস//