মূল্যস্ফীতির আঁচ কেরানিগঞ্জের পোশাক পল্লীতে (ভিডিও)
মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৪ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার
মূল্যস্ফীতির আঁচ লেগেছে পোশাকের পাইকারি বাজারেও। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে সব ধরনের পোশাকের দাম বেড়েছে। ফলে এবার পাইকারি বেচাকেনা খুব ভালো হয়নি বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ধরে সারি সারি দোকান। প্রায় প্রতিটি দোকানেরই আছে এক বা একাধিক নিজস্ব কারখানা।
দেশের সবচেয়ে বড় এই স্থানীয় পোশাক শিল্প পল্লীর উদ্যোক্তারা গেল দু’বছর ব্যবসা করতে পারেননি করোনার কারণে। পরিস্থিতি ভালো থাকায় এবার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা ছিল তাদের। কিন্তু আগের তুলনায় বিক্রি বাড়লেও, তা প্রত্যাশা অনুযায়ী নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, “সার্বিক দিক বিবেচনা করলে সব জিনিসের দাম বাড়তি। কাপড়ের দামও তুলনামূলক বেশি। এরজন্য রোজার মধ্যে বেচাবিক্রি কম। মানুষের হাতে টাকা নাই, কিনতে পারছে না।”
কাঁচামালের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এতে পোশাকের দামও খানিকটা বেশি। ব্যবসা আশানুরূপ না হওয়ার পেছনে মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
আরেক ব্যবসায়ী জানান, “খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষ পোশাক কিনবে নাকি খাবার কিনবে। যার জন্য বাজারটা ওই রকমভাবে উঠছে না।”
“প্রতিটা ফেব্রিক ও ম্যাটারিয়ালে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যেকটা শার্টে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে” জানান ব্যবসায়ীরা।
কেরানিগঞ্জের এই মিনি গার্মেন্টস পল্লীর পোশাক যায় দেশের প্রতিটি প্রান্তে। এখানকার দশ হাজারেরও বেশি দোকান ও পাঁচ হাজারের অধিক কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ মানুষ।
এএইচ/