লঞ্চের আগাম টিকিট নিয়ে বিভ্রান্তি (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২৮ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২২ বুধবার
টিকেট আছে টিকেট নেই-এমন এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্য দিয়ে ঈদের লঞ্চের টিকিট বিক্রির ঘোষণা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে সদরঘাটে। বেশিরভাগ দূর পাল্লার লঞ্চে ঈদ যাত্রার তিন দিনের লঞ্চের টিকিট নেই।
আবার বুধবার থেকে ঈদ যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরুর কথা বললেও তারও অনেক আগে থেকে ঈদের তিন দিনের ঢাকা থেকে যাওয়া বা ঢাকায় ফিরে আসার টিকিট শেষ হয়ে গেছে বলে দাবি করছে বেশিরভাগ লঞ্চের কাউন্টার থেকে।
দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামি লঞ্চ এমভি গ্রীণলাইন। চলে ঢাকা বরিশাল রুটে। দ্রুতগামি ও আরামদায়ক হওয়ার কারণে এর টিকিটের চাহিদাও বেশি।
সোমবার থেকে এবারের ঈদ যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু বলে ঘোষণা দিয়েছিল লঞ্চ মালিকরা এবং বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু গ্রীণ লাইন কাউন্টার থেকে জানানো হলো এর উল্টো কথা।
এই যখন অবস্থা তখন ঘাটে দাঁড়ানো থাকা বরিশাল রুটের অন্যতম বড় পরিবহন পারাবত থেকে জানানো হলো তাদের টিকিট বিশেষ ব্যাবস্থায় লঞ্চের একজন কর্মকর্তা দেখভাল করছেন। তাদেরও ২৮, ২৯,৩০ এপ্রিলে’র কোন কেবিনের টিকিট নেই।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ এবং লঞ্চ মালিকরা সোমবার থেকে ঈদের টিকিট বিক্রির যে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন তার খুব সামান্য ব্যাস্ততা চোখে পরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের টিকিট বিক্রির কাউন্টারগুলো ঘুরে। বিআইডব্লিউ টি এ এবার ১৩টি লঞ্চ কম্পানিকে ২৪টি কাউন্টার বরাদ্ধ দিয়েছে ঈদের টিকিট বিক্রির। তার ২২টি কাউন্টারই বন্ধ।
ময়লা বৃষ্টির পানি আর মালসামালায় ঠাঁসা ঐসব কাউন্টারে কোন যাত্রীর ভিড় নেই। যদিও বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তারা আশা করছেন দ্রুত এসব কাউন্টারে কম্পানীগুলো টিকিট বিক্রি শুরু করবে।
সদরঘাটে ঈদ যাত্রার টিকিট বিক্রির আগেই যেন টিকিট শেষ, এমন এক পরিবেশের মাঝে ব্যাতিক্রম দেখা গেছে একটি মাত্র লঞ্চ কম্পানীর কাউন্টারে।
আরও একটি প্রতিষ্ঠান আংশিকভাবে তাদের কাউন্টারে ঈদের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে।
সদরঘাট থেকে প্রায় আড়াইশ লঞ্চের চলাচলের পারমিট থাকলেও ঈদ যাত্রায় বিশেষ লঞ্চসহ প্রায় দেড়শ লঞ্চ বিভিন্ন রুটে যাত্রী পারাপার করে থাকে।
এমএম/