গ্রেফতারের পর ব্যবসায়ীর মৃত্যু, প্রশ্নবিদ্ধ পুলিশ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:৪১ এএম, ২১ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার
লক্ষ্মীপুরে চেক মামলায় গ্রেফতারের পর পুলিশী হেফাজতে আবদুল কুদ্দুস (৪৫) নামে এক ফার্মেসি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুর ঘটনাটি সদর থানা পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আবদুল কুদ্দুস সদর উপজেলার বাংগাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামের আবদুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেঘনা রোড এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন।
ওই ব্যবসায়ীর আত্মীয় পরিচয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, রাতে তাকে সুস্থ অবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর সাড়ে দশটার দিকে অসুস্থ হয়েছে বলে পুলিশ তাকে হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই আত্মীয়ের দাবি, পুলিশ হেফাজতে একজন সুস্থ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া মৃত্যুর পরে পুলিশের দায়িত্বে হাসপাতাল থেকে মরদেহ তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারে হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়।
পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এ প্রচেষ্টা থেমে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ জানায়, ঢাকার ওয়ারী থানায় কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি চেক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে। নির্দেশনা পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাকে বুধবার রাত পৌনে নয়টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা রোড এলাকার ফার্মেসি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে তার স্ত্রী নিগার সুলতানা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আল-আমিনকে নিয়ে থানায় আসেন। তাদের উপস্থিতিতেই কুদ্দুস অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুদ্দুস মারা যান বলে জানায় পুলিশ।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, কুদ্দুস স্ট্রোক করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিমতানুর রহমান বলেন, একটি চেক মামলায় কুদ্দুসকে গ্রেফতার করা হয়। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় কুদ্দুসের স্ত্রী ও স্থানীয় কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন।
তবে মরদেহের ময়নাতদন্ত না করার বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ/