কান্না যেন থামছে না নাহিদের পরিবারের (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৭ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১৭ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার
মাত্র ছয় মাসেই সংসার আর জীবনসাথীকে হারিয়ে পাগল প্রায় স্ত্রী ডালিয়া। উপার্জনক্ষম বড় ছেলেকে হারিয়ে পুরো পরিবারের সামনে এখন অমানিশার আঁধার, হতাশার শোকের মাতম। নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে নিহত নাহিদ হোসেনকে ঘিরে সুখী-স্বচ্ছল পরিবার গড়ার স্বপ্ন পূরণের সব সম্ভাবনাও শেষ। একই ঘটনায় নিহত দোকান কর্মচারী মোরসালিনের পরিবারের দুর্ভাগ্যের ইতিহাসও একই।
দরিদ্র পরিবারের সবার খাওয়া-পরা চালিয়ে আসছিলেন নিজের আয়ে, স্বপ্ন দেখতেন আরও বড় কিছু করার। কৈশোরের সাথী ডালিয়াকে বিয়ে করে গড়া সংসারের উন্নতিতেও দিনভর করতেন কঠোর পরিশ্রম। ডেলিভারি ম্যানের কাজ দিয়েই জয় পেতে চেয়েছিলেন জীবন যুদ্ধে। কিন্তু অচেনা দুই পক্ষের সংঘাতের মাঝে পড়ে সব স্বপ্ন এক নিমিষেই বর্ণহীন।
কামরাঙ্গীচরের মধ্য রসুলপুরের ছোট্ট ঘরই ছিল নাহিদের স্বপ্ন পূরণ আর সুখের ঠিকানা। বাবা-মায়ের কাছে ছেলের স্মৃতিচারণ এখন শুধুই বিষাদের গল্প।
নিজের মনের সবটা দিয়ে যে স্বামীকে আগলে রাখতেন, সেই প্রিয় সঙ্গী আজ বহুদূরে। কাকে নিয়ে বাকি জীবনের পথ টাহাঁটবেন সেটা ভেবেও দিশে হারা প্রিয়তমা স্ত্রী।
বিনা অপরাধে জীবন গেছে নাহিদের। এই যাতনা ভুলতে পারছে না পরিবার। বিচারের বাণী যেননিভৃতে না কাঁদে এই আকুতি এখন স্বজনদের।
একই ঘটনায় আহত হয়ে তিন দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন দোকান কর্মচারী মোরসালিনও চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। সন্তান হারিয়ে দিশেহারা পরিবার ও স্বজনেরা।
এভাবে আর কোনো নিরাপরাধ মানুষ যেন অন্য কারো স্বার্থের বলি না হয়, সেই দাবি স্বজনহারা দুই পরিবারের।
আরকে//