ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

তিল-সরিষার চেয়ে বেশি তেল হয় সূর্যমুখীতে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০১:৫৩ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে পারে সূর্যমূখী ফুল। এ লক্ষ্যে ফুলটির আবাদ করে সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা। বাহারি ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত দর্শকরা, ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরাও। 

মাঠ ভরে আছে হলুদ-সবুজ কারুকাজে। বাতাসে দুলছে সূর্যমুখী। নজরকাড়া এ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

সূর্যমূখী ফুল চাষে খরচ কম। সার, ওষুধ কম লাগে, তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। সরিষা, তিলের চেয়ে তেলও বেশি পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যরক্ষা ও রোগ জীবাণু প্রতিরোধে সূর্যমূখী বীজের তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 

চাষীরা বলছে, আগে হলুদ মরিচের চাষ করতেন তারা, কিন্তু এখন সূর্যমূখী চাষে ঝুঁকছেন সবাই।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এ বছর ১০০ কৃষককে সূর্যমুখীর বীজ ও সার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। ৩৩ একর জমিতে আবাদ হয়েছে সূর্যমূখীর, যা গত বছরের দ্বিগুণ। আশাবাদী কৃষি কর্মকর্তারাও। 
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, "সয়াবিন তেলের নির্ভরতা কমাতে দেশেই এর চাষে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।"

সূর্যমুখী চাষে সফলতা পেয়েছেন মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের কৃষক মোশাররফ হোসেনও। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৩৩ শতক জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলটির আবাদ করেছেন তিনি । 

তিনি বলেন, "সূর্যমূখী তেলে জিরো কোলেস্টেরল আছে। তাই কৃষি অফিসের সহায়তায় আমিও চাষ করেছি।" 

কৃষকরা বলছেন, সূর্যমুখী থেকে তেলের পাশাপাশি পশুর খাবার ও জ্বালানি পাওয়া যায়। নতুন অনেকেও এ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

স্বল্প সময়ে সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন হয়, লাভও বেশি। তাই এ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। 

এসবি/