ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শিশু তাসফিয়া হত্যাকাণ্ড, রিমনের স্বীকারোক্তি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৪৩ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাত (৪) ও ঘাতক রিমন

শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাত (৪) ও ঘাতক রিমন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে গুলি করে শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাত (৪) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মামলার প্রধান আসামি রিমন।

বৃহস্পতিবার রাতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. সবজেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে রিমনসহ ৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়। তাদের মধ্যে সোহেল উদ্দিন, সুজন, নাইমুল ইসলাম এবং আকবর হোসেনের ৭ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে দুপুরে প্রত্যেকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া প্রধান আসামি রিমন স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ায় তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিকেলে রিমনকে বিচারকের খাস কামরায় ডাকা হয়। সেখানে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বিচারকের খাস কামরা থেকে বের করা হয় এবং তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, রিমন নিজে তাসফিয়া ও তার বাবাকে গুলি করার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেছেন। তবে কোন অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুঁড়েছেন, সে বিষয়টি রিমন নিশ্চিত করেনি।

এর আগে গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির পাশের মালেকার বাপের দোকান এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তাসফিয়া ও তার বাবা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করলে ঢাকায় নেয়ার পথে রাতে তাসফিয়া মারা যায়। 

এ ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) নিহতের খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অস্ত্রধারী রিমন, বাদশাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এনএস//