ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

আমিরাতে কষ্টের জীবন কাটাচ্ছেন বহু বাংলাদেশী (ভিডিও)

দুবাই প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫০ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০২২ শনিবার

দালালদের খপ্পড়ে পড়ে আরব আমিরাতে অবৈধ অভিবাসী হয়ে কষ্টের জীবন কাটাচ্ছেন বহু বাংলাদেশী। গ্রেফতারের ভয়ে দিনের পর দিন লুকিয়ে থাকছেন অনেকেই। দালালরা ভালো বেতনে চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে ভ্রমণ ভিসায় কয়েক লাখ তরুণ-যুবককে আরব আমিরাত পাঠালেও তাদের সঠিক হিসাব নেই দূতাবাসের কাছে।

শরীয়তপুরের তানভীর ইসলাম এক মাসের ভ্রমণ ভিসায় আসেন সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে পা রাখতেই পাবেন ওয়ার্ক পারমিট এজন্য দালালকে দিতে হয় তিন লাখ টাকা। কিন্তু এক বছর পরও মেলেনি কাঙ্খিত কাজের ভিসা। এদিকে ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে পরিণত হয়েছেন অবৈধ অভিবাসীতে।

তানভীর ইসলাম জানান, “তারা আমাদেরকে বলে দুবাইতে যাওয়ার পর তোমরা একদিন পর কাজে ঢুকে যাবে। কিন্তু তা তো হয়না।”

তানভীরের মতো অনেকের প্রবাস জীবন একই রকম। 

তারা জানান, “আমরা অনেকে ঋণ করে এসেছি। কেউ জমি বিক্রি করে, কেউ জমি বন্ধক রেখে এসেছি। যারা বস্তিতে কিংবা জেলখানায় থাকেন তার থেকেও বাজে পরিস্থিতিতে আমরা।” 

আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ শেষ হলে প্রথম দিন পাঁচ হাজার এবং এরপর প্রতিদিন দুই হাজার পাঁচশ’ টাকা করে জরিমানা হতে থাকে।

গেল দুই বছরে ভ্রমণ ভিসায় দুবাই এসেছেন কয়েক লাখ তরুণ। কেউ কেউ চাকরি বা এখান থেকে ইউরোপে যেতে পারলেও বেশিরভাগ তরুণ ব্যর্থ হয়েছেন। 

দুবাই বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, “কিছুসংখ্যক লোকের হয়েছে কিন্তু অধিকাংশ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি। তারা অতি মানবেতর জীবন যাপন করছেন।”

দুবাই বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাজা মল্লিক বলেন, “ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে চাকরি পাবেন না, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবেন। তাতে বাংলাদেশের নাম ক্ষুণ্ন হবে, এটা আমরা যাচ্ছি না।”

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর স্মার্টকার্ড না থাকায় সরকারি নথিপত্রে তাদের সঠিক কোনো তথ্য নেই। তবে দূতাবাস বলছে, নতুন প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে দেশটিতে। 

দুবাই কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ থেকে যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসতে চায় তারা অবশ্যই যেন চাকরি নিশ্চিত করে আসেন।”
 
দুবাই থেকে চুক্তির মাধ্যমে কিছু ট্রাভেলস এজেন্সি এসব ভ্রমণ ভিসাধারীদের লিবিয়া, পর্তুগাল, মাল্টাসহ ইউরোপের বেশকিছু দেশে পাঠায়। দালালের মাধ্যমে সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাত্রা করে। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অনেকেই পড়ছেন মৃত্যু ঝুঁকিতে।

এএইচ/