ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

এনজিও ও বেসরকারি সংস্থার সাথে সুইসকন্টাক্টের অংশীদারিত্ব 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৮:১০ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

ঢাকাস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতায় পরিচালিত বি-স্কিলফুল প্রোগ্রাম ফেজ ২ -এর অধীনে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আসবাব নির্মাণ এবং চামড়াজাত পণ্যখাত সংশ্লিষ্ট এমএসএমই’র প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এনজিও ও বেসরকারি সংস্থার সাথে অংশীদারিত্ব করেছে সুইসকন্টাক্ট। এই সংস্থাগুলো হচ্ছে রেজিয়া ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং, ইন্সপায়রা অ্যাডভাইজরি অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেড, রিসডা-বাংলাদেশ এবং রয়্যালকার্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। 

আজ (২৬ এপ্রিল) সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি অফিসে এই অংশীদারিত্ব স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির আওতায়, রেজিয়া ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং এবং ইন্সপায়রা অ্যাডভাইজরি অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেড ২৪০টি এমএসএমইকে বাজার, আর্থিক পণ্যের সাথে সংযুক্ত করার মধ্য দিয়ে তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নত করার মাধ্যমে ব্যবসায় উন্নয়ন সেবা প্রদান করবে। অন্যদিকে, রিসডা-বাংলাদেশ এবং রয়্যালকার্ট বাংলাদেশ লিমিটেড কর্মসংস্থানে নিয়োগপ্রাপ্তির যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২,২২০ জন কর্মীকে কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুসারে কর্মক্ষেত্রভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। 
 
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বি-স্কিলফুলের টিম লিডার দায়না সরেনসেন বলেন, “যদিও এন্টারপ্রাইজের উন্নয়নকে ঘিরেই মূলত এই কর্মসূচী, তবে এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উন্নয়ন যাতে কর্মীদের উপকারে আসে (উপযুক্ত মজুরি এবং কাজের পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে) সে বিষয়টিও আমরা নিশ্চিত করতে চাই।” 

বি-স্কিলফুল প্রোগ্রাম ফেজ ২, চার বছর মেয়াদী দক্ষতা এবং এন্টারপ্রাইজ উন্নয়ন কর্মসূচি, যা দেশে সুইজারল্যান্ডের সামগ্রিক লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রাখছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে জাতিসংঘের ২০৩০ এজেন্ডার সাথে সামঞ্জস্য রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আরও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা। এই কর্মসূচির আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিও সহ আরও সাতটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়। এই অংশিদারিত্বের লক্ষ্য ১৩,০০০ কর্মীর দক্ষতা ও কর্মসংস্থানে নিয়োগপ্রাপ্তির যোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কমপক্ষে ৮০০টি মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এমএসএমই) উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করা।  

আরকে//