রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: বিচারকাজ কতদূর?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৫ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৮:৫৬ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০২২ রবিবার
২০১৩ সালের এইদিনে সাভারের রানা প্লাজায় ঘটেছিল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মুহূর্তেই ধসে পড়েছিল আটতলা ভবন। যেখানে অবৈধভাবে কারখানা করা হয়েছিল। সেদিনের সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন এক হাজার ১৩৪ জন। আহত হয়েছিলেন দুই হাজারের বেশি মানুষ। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন পোশাকশ্রমিক। এ ঘটনায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে দুটি মামলা হয়েছিল। এই দুটি মামলার এখন কী অবস্থা?
মূলত মামলা দুটির একটিরও কোনো অগ্রগতি নেই।
প্রায় ছয় বছর আগে এই দুই মামলার অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করে আদালত। এর প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
দ্বিতীয় মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে। মামলা স্থগিত থাকায় অভিযোগ গঠনের ছয় বছরেও শুরু হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ।
এদিকে সে সময় নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার এবং স্থায়ীভাবে পঙ্গু হওয়া শ্রমিকদের জন্য ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ কর হয়েছিল।
পাশাপাশি ওই ঘটনায় আহত শ্রমিকদের প্রত্যেককে দেড় লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে এতো বছরেও আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পায়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
এদিকে ভবন ধসের পর পালিয়ে যাওয়া রানাকে কয়েকদিন পর যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে জেলে তিনি। গ্রেফতারের পর রানার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
ওই মামলায় ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট সোহেল রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এসবি/