ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

ভবনের কাঁচের সঙ্গে লেগে শত কোটি পাখির মৃত্যু!

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০২:০৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০২:৩৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২২ রবিবার

২০১৯ সালের জরিপ বলছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বিভিন্ন ভবনের কাঁচের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারা যাওয়া পাখির সংখ্যা প্রায় একশ কোটি হতে পারে৷ 

প্রতিবছর শীত শুরুর আগে পাখিরা মধ্য ও দক্ষিণ অ্যামেরিকার দিকে যায়৷ পরে আবার ফিরে আসে৷ রাতে ওড়ার সময় পাখিরা আলোকিত কাঁচের ভবনকে তারার আলো মনে করে সেদিকে ছুটে যায়৷ এভাবে পাখি মারা যায়৷

পাখির এমন মৃত্যু নিয়ে গত প্রায় ৫০ বছর ধরে কাজ করছেন ডেনিয়েল ক্লেম৷ বর্তমানে তিনি পেনসিলভেনিয়ার একটি কলেজের অধ্যাপক৷ তিনি মনে করেন পাখিদের আবাস ধ্বংসের পরই পাখিদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে কাঁচের ভবন৷ এছাড়া উঁচু ভবনের চেয়ে নীচু ও মাঝারি আকারের কাঁচের ভবন পাখিদের জন্য বেশি হুমকি বলে মনে করেন তিনি৷

গত সেপ্টেম্বরের এক সকালে নিউইয়র্কের ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের আশপাশ থেকে এক ঘণ্টায় ২২৬টি মৃত পাখি খুঁজে পেয়েছিলেন মেলিসা ব্রেয়ার৷ সেই খবর ও ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল৷

মেলিসা ব্রেয়ার ‘এনওয়াইসি আডবন' নামে একটি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক৷ এই সংস্থার এক গবেষণা বলছে নিউইয়র্কে প্রতিবছর ভবনের কাঁচের সঙ্গে সংঘর্ষে ৯০ হাজার থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার পাখি মারা যায়৷

পাখির মৃত্যু ঠেকাতে এনওয়াইসি আডবন ভবন মালিকদের কাঁচের উপর এক বিশেষ ধরনের ফয়েল জড়ানোর অনুরোধ করছে৷ এতে প্রতিফলন কিছুটা কমবে বলে মনে করছে তারা৷ এছাড়া এই ধরনের ফয়েল ঘর গরম ও ঠান্ডা রাখার খরচও কমাবে৷

গত জানুয়ারিতে নিউইয়র্ক শহর কর্তৃপক্ষ পরিযায়ী পাখি চলাচলের মৌসুমে সরকারি ভবনগুলোতে রাতের বেলায় লাইট বন্ধ রাখার আইন করেছে৷

এছাড়া গতবছর থেকে নতুন ভবনের নকশা করার সময় স্থপতিদের পাখিবান্ধব নকশা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে৷ যেমন কাচে আলট্রাভায়োলেট প্রলেপ দিতে বলা হয়েছে যেটা মানুষ দেখতে পাবে না, তবে পাখিরা দেখতে পাবে৷

যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডায় কয়েকটি সংগঠন পাখির মৃত্যু কমাতে আইন প্রনয়ণে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কাজ করছে৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসবি/