মাঠ রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২২ সোমবার
রাজধানী কলাবাগান এলাকায় খেলার মাঠের জন্য আন্দোলনকারী মা-ছেলে ছাড়া ঘটনাকে প্রাথমিক বিজয় হিসাবে বর্ণনা করে আগামীতে মাঠ রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে নাগরিক সমাজ।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এই ইস্যুতে সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে কলাবাগান এলাকার তেঁতুলতলা মাঠে ডাকা হয়েছে এক প্রতিবাদ সমাবেশ।
এর আগে রোববার (২৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে মুচলেকা নিয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলে প্রিয়াংশুকে ছেড়ে দেয়। তাদেরকে প্রায় ১২ ঘণ্টা থানা হাজতে আটকে রেখেছিলো পুলিশ। তাদের অপরাধ, সৈয়দা রত্না বাচ্চাদের খেলার মাঠ রক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
রোববার রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৈয়দা রত্নার ছেলে প্রিয়াংশুর একটি ছবি ছড়িয়ে পরে সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায়, ছেলেটি হলুদ রঙের একটি টি-শার্ট পরে থানা হাজতের মধ্যে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। তার মাকেও আটকের খবর ছড়িয়ে পরে।
এই মা-ছেলের অপরাধ এলাকার একমাত্র খেলার মাঠটা তারা রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। রুখে দিতে চেয়েছিলেন খেলার মাঠে থানা ভবন নির্মাণের অপচেষ্টা।
কলাবাগানের তেঁতুলতলা খেলার মাঠে থানা নির্মাণের প্রতিবাদে আন্দোলন করে আসছিলেন সৈয়দা রত্না। রোববার মাঠে ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর প্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভ করায় ছেলে প্রিয়াংশুসহ তাঁকে আটক করে পুলিশ।
এই শহরে সেই চাওয়াটুকুও নাকি অপরাধ। তাইতো কলাবাগানের বাসিন্দা সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলে প্রিয়াংশুকে থানা হাজতে আটকে থাকতে হলো প্রায় ১২ ঘণ্টা।
বিক্ষোভের মুখে অবশেষে রোববার মধ্যরাতে কলাবাগান থানা থেকে ছাড়া পান সেই মা-ছেলে। তবে তার আগে তাদেরকে দিতে হয়েছে মুচলেকা।
মুচলেকায় কী লেখা ছিলো, এমন প্রশ্নের জবাবে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিতোষ চন্দ্র জানান, তিনি তার (সৈয়দা রত্না) ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং এমন কাজ তিনি আর করবেন না এটা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।
এর আগে তাদের মুক্তি দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নেন কলাবাগানের মানুষজন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। মা-ছেলের আটকে রাখার ঘটনাকে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ বলছেন তারা।
আরকে//