ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিন চাকার দৌরাত্ম (ভিডিও)
হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার
নিষেধাজ্ঞার পরও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার যানবাহন। উল্টোপথে চালাচল এবং অবৈধ পার্কিংয়ের ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এজন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা এবং হাইওয়ে পুলিশের নিষ্ক্রীয়তা ও চাঁদাবাজিকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিষিদ্ধ করা হয় মহাসড়কে তিন চাকা ছোট যানবাহন চলাচল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা যেন কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশ পথ সিটি গেইট থেকে ফেনী পর্যন্ত দীর্ঘ এই পথ জুড়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরণের তিন চাকার যানবাহন। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা।
এরই মধ্যে গেল তিন মাসে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৪৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন, আহত হয়েছে শতাধিক।
মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম এবং দুর্ঘটনার জন্য হাইওয়ে পুলিশকে দুষলেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, পুলিশ এসব যানবাহন থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, “হাইওয়েতে ছোট চাকার গাড়ি চলতে দিচ্ছে। ধরে নিয়ে ৫-১০ হাজার টাকা নিয়ে গাড়ি আবার ছেড়ে দেয়।”
তবে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিন চাকার ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করায় মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে স্বীকার করেন হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার সাব ইন্সপেক্টর নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, “তারা ফলো করে, পুলিশ না থাকাতে মহাসড়কে উঠে দুর্ঘটনার শিকার হয়।”
ওসি নাজমুল হক বলেন, “আটক গাড়িগুলোকে ফেরত দেয়া হয় না, সেগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
এদিকে অব্যবস্থাপনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ক্রমশ: অনিরাপদ হয়ে উঠছে বলে জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তাদের অভিযোগ, মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অবৈধ পার্কিংও এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন বলেন, “যেখানে পার্কিং করে সেখানে রাস্তাটা সরু হয়ে যায়। যেহেতু এটা মহাসড়ক। অনেক সময় উল্টো দিক দিয়ে গাড়ি চলে আসে।”
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখা এবং সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধিসহ জবাবদিহিতার আনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ/