ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকি রাশিয়ার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২২ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:২৬ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আরো অস্ত্র পাঠানোর লক্ষে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদের একটি বৈঠকের প্রাক্কালে রাশিয়া তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি ‘বাস্তব’ হুমকির ব্যাপার সতর্ক করেছে।

প্রতিবেশী দেশটিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর কিয়েভের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাপক সমর্থন রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা দিতে বিপুল অস্ত্র সরবরাহ করছে। কিন্তু পশ্চিমা শক্তিগুলো ভয়ে এই যুদ্ধে তাদের সরাসরি জড়াতে চায় না, তারা চায়না এই যুদ্ধ তাদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়াকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে।

রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপকালে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকিকে ‘গুরুতর’ বলে সতর্ক করেছেন এবং শান্তি আলোচনার পন্থা গুটিয়ে রাখার জন্য কিয়েভের সমালোচনা করেছেন।

ল্যাভরভ বলেন, ‘এটি বাস্তব, আপনি এটিকে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন না।’

কয়েক মাস ধরে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছে কামান ও যুদ্ধবিমানসহ ভারী অস্ত্র সরবরাহের আহবান জানিয়ে আসছে এবং এসব অস্ত্র দিয়ে তার বাহিনী যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার শপথ নিয়েছে।

এখন সেই আহবানের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। মস্কোর আপত্তি সত্ত্বেও উদ্যোগী ন্যাটো ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।

সপ্তাহান্তে কিয়েভ সফরে পেন্টাগন প্রধান লয়েড অস্টিন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ইউক্রেনের জন্য ৭০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।

ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে বৈঠকের পরে একদল সাংবাদিককে অস্টিন বলেন, ‘জেতার প্রথম ধাপ হল বিশ্বাস করা যে আপনি জিততে পারবেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে ৪০ টির বেশি দেশ ইউক্রেনে আরো অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি যুদ্ধ শেষে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে মঙ্গলবার জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলনে বসছে।

আমন্ত্রিত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো এবং অস্ট্রেলিয়া ও জাপান, এই দেশ দু’টি ইউক্রেনে রাশিয়ার বিজয়কে ভয় পাচ্ছে, কারণ এতে চীনের আঞ্চলিক উচ্চাকাক্সক্ষা উৎসাহিত হতে পারে।

ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ঐতিহ্যগতভাবে নিরপেক্ষ ছিল, কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পরে দেশ দুটি ন্যাটো সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই দেশ দুটিও আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বৈঠকের কথা রয়েছে। তার মুখপাত্র আরআইএ নভোস্তিকে এ কথা জানায়।- বাসস

এসি