ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তেঁতুলতলা মাঠের জমির জন্য জেলা প্রশাসনকে ২৭ কোটি টাকা দিয়েছে ডিএমপি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:১২ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠটি থানা ভবন করার জন্য নিয়ম-নীতি মেনে জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ—ডিএমপি। মাঠটি বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭-এর সব বিধি-বিধান অনুসরণ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ধানমন্ডি মৌজার দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণের পর ক্ষতিপূরণ হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ৭১০ টাকা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন।

সেখানে বলা হয়, এই মাঠে পুলিশ কোনো ধরনের জবর দখলমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে না। এটি সরকারি মাঠ। সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি অধিগ্রহণ কমিটি সব নিয়মনীতি মেনে ডিএমপিকে ওই মাঠে থানা ভবন করার অনুমতি দিয়েছে।

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর ফোন আসছে ডিএমপিতে। নিউজ দেখে পুলিশের শুভাকাঙ্খী ও সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ ফোন করছেন। অবস্থা এমন যেন পুলিশ কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার জমি দখল করে থানা করছে।’

ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, ‘এই জমি কোনা ব্যক্তি বা সংস্থার জমি না। এটা সরকারের জমি। থানা ভবন করার জন্য পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। নিউজ হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে যে তারা ভাবছে ডিএমপির পক্ষ থেকে দখল করে থানা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি মোটেও তা না। সরকারের জমি সরকার থানা করার জন্য দিয়েছে।’

ফারুক হোসেন বলেন, ‘কলাবাগান থানার জন্য তেতুলতলাতে যেই ভবন নির্মাণ করা হবে সেই মাঠের জমির মালিক সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এখানে থানা ভবন নির্মাণ করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাব দেওয়ার পরে সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি অধিগ্রহণ কমিটি সব নিয়মনীতি মেনে ডিএমপিকে থানা ভবন করতে দেওয়া হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা জেলা প্রশাসক কলাবাগান থানার জন্য ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণ করে ডিএমপিকে সরজমিনে বুঝিয়ে দেয়। এছাড়া এই জমি অধিগ্রহণের জন্য ডিএমপি পক্ষ থেকে জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে জেলা প্রশাসককে ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ৭১০ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া থানা ভবন করার জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। সেই অর্থ পাওয়ার পরে থানা ভবন নির্মাণ করার জন্য সীমানা প্রচীরের কাজ শুরু হয়েছে।

ফারুক হোসেন বলেন, ‘সরকারের সব দপ্তর থেকে নিয়মনীতি মেনে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই ডিএমপিকে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পরেই নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বললে, সেই ক্ষেত্রে ডিএমপি সিদ্ধান্ত নেবে থানা ভবন নির্মাণ কাজ চলবে কি চলবে না।’

খেলার মাঠের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে ডিএমপি মুখপাত্র বলেন, ‘কিন্তু মহানগরী এলাকায় কোথায় খেলার মাঠ থাকবে আর কোথায় থাকবে না সেটা ডিএমপির এখতিয়ারভুক্ত না। এটা জন্য সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নেবে। প্রস্তাবিত থানার পাশেই উন্মুক্ত খেলার মাঠ আছে। সেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারে। এছাড়া সামাজিক প্রোগ্রামসহ পূর্জাঅর্চনা হয়ে থাকে।’

আরকে//