ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

৯ দিনের ছুটির ফাঁদে বেনাপোল স্থলবন্দর

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার

সাপ্তাহিক ছুটি, মে দিবস ও ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির কারণে টানা ৬ দিন, এর মাঝে একদিন অফিস হয়ে আবারও ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি। তাতে মোট ৯ দিন দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। 

এর ফলে স্থবির হয়ে পড়বে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ ভাগই আসে এই বন্দর দিয়ে।  ‘

লম্বা ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে পড়বে বিরুপ প্রভাব। এমনিতেই বেনাপোল বন্দরে পণ্যজট লেগেই আছে। লম্বা ছুটিতে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাঁচামালের সংকট দেখা দিতে পারে। সীমান্তের দু’পাশের ট্রাকজট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। 

তবে এ ছুটিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। শুক্র ও শনিবার (২৯, ৩০ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি, ১ মে শনিবার মহান মে দিবস ও ২ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকবে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের কার্যক্রম। 

৫ মে বৃহস্পতিবার আমদানি-রপ্তানি চালু হবে। কাস্টমস ও বন্দর খুললেও কোন পণ্য খালাসের সম্ভাবনা নেই। এরপর ৬, ৭ মে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসেবে রোববার (৮ মে) থেকে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এ বন্দরে। 

এদিকে টানা ছুটির কারণে সীমান্তের দু’পাশের বন্দরে ট্রাকজট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বেনাপোলের মতোই পেট্রাপোল বন্দরেও ট্রাকজট রয়েছে। বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও কালীতলা পার্কিং টার্মিনালে কয়েকশ’ পণ্য বোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়। তবে দীর্ঘ ছুটির কারণে অনেক পণ্য পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে ঢুকবে ছুটি শেষে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, ২৮ এপ্রিল বিকাল থেকে ঈদের ছুটি হয়ে যাচ্ছে। ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৫ ও ৭ মে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হলে সে পণ্য আনলোড করা হবে।

ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোন ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে-রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে বলে জানান তিনি।

আরএমএ/এএইচ