সন্তান ভুল করলে কী করবেন?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার
পিতা-মাতার কাছে সন্তান সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাকে ঠিকমত গড়ে তোলাই অভিভাবকের প্রধান কাজ। তাই ছোট থেকেই সন্তানকে ঠিক-ভুলের শিক্ষা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
শৈশবে ভুল একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এই ভুল-ভ্রান্তি নিয়ন্ত্রণ করা কখনও কখনও বাবা-মায়ের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময়ে সন্তান এমন কাজ করে বসে, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ক্ষতি করতে পারে নিজেরই।
কিন্তু তাই বলে বেশি কড়াকড়ি করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই সন্তানের ভুল ধরলেই শুধু হবে না, তাদের এমন বার্তা দিতে হবে যাতে সন্তান ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ পায়।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে শুধরাবেন সন্তানকে-
শিশুরা ভুল করলে রাগারাগি করলে চলবে না। সন্তানের যে কোনও অনুভূতি সামলাতেই প্রথম ধাপ ধৈর্য ধরা। রেগে গিয়ে শাসন করতে গেলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। তাই শান্ত হয়ে কথা বলুন সন্তানের সঙ্গে। সন্তানকে বলুন ভুল সকলেই করে, এমনকি বাবা-মাও কখনও কখনও ভুল করে বসেন। দেখবেন নিজের ভুল স্বীকার সহজ হবে শিশুর পক্ষে।
সন্তানের কথা শুনুন মন দিয়ে, শিশুদের পক্ষে সব কিছু বুঝিয়ে বলা শক্ত। তাই তাকে বেশি কথা বলার সুযোগ দিন। নিজের কথা বলার সময়ে প্রথমেই সন্তানকে ধন্যবাদ দিন তার স্বীকারোক্তির জন্য। তারপর সহজ করে বোঝান কী ভুল হয়েছে তার, বাতলে দিন শোধরানোর উপায়।
সন্তানকে জানান ভুল করে ফেললে তা স্বীকার করার ক্ষমতা ভাল মানুষ হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতেও যদি কোনও ভুল সে করে ফেলে তা হলেও যেন স্বীকার করতে পারে অকুণ্ঠ ভাবে।
চেষ্টা করুন এমন ভাবে বোঝাতে যাতে দ্বিতীয় বার একই ভুল না করে। সংবেদনশীলতাই ভুল শুধরে দেওয়ার চাবিকাঠি। কাজেই সন্তানকে বলুন প্রত্যেকটি ভুলই আমাদের কিছু না কিছু শিক্ষা দেয়, এই শিক্ষণীয় বিষয়গুলোই ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে জীবনে। তাই যা হয়ে গিয়েছে সেটা নিয়ে পড়ে না থেকে একই ভুল যেন আর না হয় তার দিকে মনোনিবেশ করাই বিচক্ষণতার পরিচয়।
সন্তান অবুঝ হলেও বাবা-মা অস্থির হলে চলবে না। রাগের জন্য বকুনি না দিয়ে যতটা সম্ভব ভাল করে বোঝাতে হবে সন্তানকে। পাশাপাশি, সন্তানকে বোঝাতে হবে যে এই ভুল থেকে ঠিকের পথে সে একা নয়, অভিভাবক হিসেবে আপনিও পাশে থাকবেন তার।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/ এসএ/