ঈদ-অর্থনীতির আকার হবে দেড় লাখ কোটি টাকা (ভিডিও)
আকবর হোসেন সুমন
প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১২:১৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার
কেনাকাটার ধুম পড়েছে দোকানপাট-মার্কেট আর শপিংমলে। ফুটপাতেও জমজমাট বেচাকেনা। ঈদকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি পেয়েছে নতুন গতি। সংশ্লিষ্টদের আশা, এবারের ঈদ-অর্থনীতির আকার হবে দেড় লাখ কোটি টাকা।
করোনার কারণে গেল দু’বছরের ঈদ ছিল পানসে, আনন্দহীন। প্রত্যাশিত কেনাকাটা না হওয়ায় স্থবির ছিল ঈদ কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য।
তবে করোনার প্রকোপ কমায় এবারের চিত্র ভিন্ন। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হওয়ায় গতিশীল হয়েছে সার্বিক অর্থনীতি। বেড়েছে মানুষের ক্রমক্ষমতা। কেনাকাটায় উৎসবমুখর দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল।
বিক্রেতারা বলছেন, গেল চার মাসে যা ক্রেতা পেয়েছেন তারচেয়ে অনেক বেশি পেয়েছেন এই ঈদের আগ দিয়ে।
এফবিসিসিআই বলছে, এবারের ঈদ-অর্থনীতির আকার হবে কমপক্ষে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে পোশাকেই ব্যয় ৭০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া জুতা-কসমেটিকস-ভোগ্যপণ্যে-ইলেকট্রনিক্স-জুয়েলারি-পর্যটন ও যাতায়াতে ভোক্তারা খরচ করবেন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বিপুল অর্থ যাবে যাকাত-ফিতরায়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, "এক কোটি মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে যাবে, এ সময় পরিবহন খাতের ব্যাপক প্রভাব ফেলে, এছাড়া যে পরিমাণ যাকাত-ফেতরা দেওয়া হয়। এই সবকিছু মিলে এক লক্ষ পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্ন হাজার কোটি টাকার একটা বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। "
এদিকে বায়তুল মোকাররম ব্যাবসায়ী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায় বলেন, "গত দুই বছরের থেকে এবারে ভালো বাজার হবে এই প্রত্যাশা আমরা রাখি। এই ধাপে আমরা ভালো রাজস্ব সরকারকেও দিতে পারবো।"
করোনার ক্ষতি পোষাতে ব্যবসায়ীদের জন্য এবারের ঈদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সহ-সভাপতি এবং ঢাকা চেম্বার অফ কমার্সের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম বলেন, "বাজেটের ঠিক পূর্বে আমরা এই যদি আমরা এই ইকোনোমিটাকে স্টিমুলেট করতে পারি তাহলে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক রিকভারিতে প্রভাব ফেলবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে ভোক্তাদের বাড়তি ব্যয় আরো চাঙ্গা করবে দেশের অর্থনীতিকে।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মনজুর হোসেন বলেন, "সারাবছর যা ক্ষতি হয় তা পুষিয়ে নেওয়া যায় এই সময়।"
ঈদের ছুটিতে শহর থেকে গ্রামে ফেরে লাখো মানুষ। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে পড়ে ইতিবাচক প্রভাব।
এসবি/