ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাড়ছে দেশি ব্র্যান্ডের কদর (ভিডিও)

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

ঈদ বাজারজুড়ে বিক্রির শীর্ষে রয়েছে দেশি ব্র্যান্ডের পোশাক। গেল কয়েক বছরে দেশে পোশাকের বাজারে বেড়েছে এর চাহিদা। উদ্যোক্তারা বলেছেন, দেশের পোশাক বাজারে দেশি ব্র্যান্ড খুবই সম্ভাবনাময়। তাই রপ্তানির পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে উঠছে দেশি ব্র্যান্ড। 

দেশের তৈরি পোশাক শিল্প শুরু ষাটের দশকে। স্বাধীনতার পর রপ্তানীমুখী খাত হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানীমুখী শিল্পখাত।  

আর্ন্তজাতিক নামী দামী ব্র্যান্ডের পোশাকের গায়ে মেড ইন বাংলাদেশ লেখা থাকলেও দেশি ব্র্যান্ড তৈরি হতে সময় লাগে আরো কিছুটা। 

১৯৭৮ সালে দেশের ক্রেতাদের কথা মাথা রেখে শুরু হয় আড়ং এর পথচলা। 

পোশাক শিল্পের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান টেক্সটমার্ট ১৯৯৮ সালে নিজস্ব ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু করে। এ ছাড়া গত দুই দশকে বেক্সিম গ্রুপের ইয়েলো, ইপলিয়নের সেইলর সহ বেশ কিছু দেশি ব্র্যান্ড বাজারে নিয়ে আসে নিজেদের পোশাক।  

অঞ্জনস, দেশাল, রং, কে ক্রাফট সহ বেশকিছু ব্র্যান্ড সাড়া ফেলে। ক্রেতাদের মুগ্ধ করে হয় দেশী দশের প্লাটফর্ম।  

পোশাকে পাশ্চাত্যের সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিশেলে নতুন একটি ধারা সংযোজন করতে পারায়  ভোক্তাদের কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছে দেশি ব্র্যান্ডগুলো। 

একজন ক্রেতা বলেন, "আমাদের দেশের কাপড়ই কিন্তু বিদেশে এক্সপোর্ট হচ্ছে, কারণ আমাদের কাপড়ের কোয়ালিটি ভালো।"

ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু করে নিজেদের ব্র্রান্ড ছড়িয়ে দিচ্ছেন সারা দেশে। বিক্রয়কেন্দ্র বৃদ্ধির মাধ্যমে বাড়ছে ব্যবসা।

একজন বিক্রেতা বলেন, "আমরা যা প্রাইজিং করি তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করি।"

আরেক বিক্রেতা জানান, মানুষের চাহিদা বিবেচনা করেই দেশিয় কাপড়গুলো তৈরি করা হয়।" 

পোশাকের নকশায় লোক ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিদিনই নতুনত্ব আনছেন ডিজাইনারা।

একজন ডিজাইনার বলেন, সূতা থেকে শুরু করে পুরো কাপড়টাই আমাদের দেশে তৈরি, এছাড়া আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজাইন নিয়ে কাজ করি।" 

নিজেদের ব্র্যান্ড তৈরীতে এগিয়ে আসছেন অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি তরুন উদ্যোক্তরাও। তারা বলছেন, দেশিয় ব্র্যান্ডগুলোর 
প্রচার প্রচারণা একটু বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। 

দেশি ব্র্যান্ডগুলি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াবে এমন প্রত্যাশা পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্টদের।

এসবি/