ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

শেখ জামালের প্রাণের সেনাবাহিনী আজ বিশ্বসভায় সমাদৃত: শেখ পরশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, শহীদ শেখ জামালের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাগতভাবে দক্ষ ও চৌকস বাহিনী হিসেবে জনগণের ভালোবাসা, গর্ব ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

আজ শুক্রবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আদর্শ বিদ্যানিকেতনে যুবলীগের উদ্যোগে শহীদ শেখ জামালের ৬৯তম জন্মদিন ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, শেখ জামাল মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একজন সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন গর্বিত সেনা অফিসার। দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও সংস্কৃতিপ্রেমী শহীদ শেখ জামাল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। 

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য কিশোর শেখ জামাল ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে ধানমন্ডির তারকাঁটার বেড়া দেওয়া পাকিস্তানি বাহিনীর বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে ভারতে যান। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে পৌঁছলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের কালশীতে। সেখানে ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। 

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ১ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে স্যান্ডহার্স্বে রেগুলার ক্যারিয়ার কোর্স শুরু হওয়ার কথা ছিল শেখ জামালের। অথচ শেখ জামাল এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও অংশ নিলেন না। মায়ের জন্য গভীর টান অনুভব করে তিনি যোগদান করলেন না, দেশেই থেকে গেলেন। মাত্র দেড় মাস পর এই সিদ্ধান্তই তাঁর জীবন কেড়ে নেয় এবং মায়ের সাথেই তিনি চিরতরে বিদায় নেন এই নিষ্ঠুর পৃথিবী থেকে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন শেখ জামালকে সেনা অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে। শহীদ শেখ জামাল পিতার স্বপ্ন অনুযায়ী, একজন দেশপ্রেমিক চৌকস-মেধাবী সেনা অফিসার হয়ে উঠেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লং কোর্স-এর প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল মার্শাল টিটর আমন্ত্রণে যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সামরিক একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করেন।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচন নিয়ে জামাত-বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। তাই যুবলীগের নেতাকর্মীদের সচেতন থাকতে হবে।

এসময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নবী নেওয়াজ ও তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা ও সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম ও মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

এসি