ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে এল দুই কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৯:২৯ এএম, ২ মে ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৯:৩০ এএম, ২ মে ২০২২ সোমবার

বাজারে সয়াবিন তেলের সংকটের মাঝেই চট্টগ্রাম বন্দরে তেল নিয়ে পৌঁছেছে একটি জাহাজ। গত বৃহস্পতিবার জাহাজটি বন্দরে পৌঁছানোর পর পুরোদমে খালাসও চলছে। এই জাহাজে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল রয়েছে।

দেশজুড়ে সয়াবিন তেলের সংকট। ঈদের সামনে দোকানে সয়াবিন তেল না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। এদিকে সংকটকালে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মজুত করে রাখা তেল বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এমন পরিস্থিতিতে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল নিয়ে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে একটি জাহাজ। জাহাজ থেকে এখন পুরোদমে তেল খালাস চলছে।

রোববার বন্দর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ জাহাজটিতে এই সয়াবিন তেল আমদানি করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড ও সেনা কল্যাণ এডিবল অয়েল লিমিটেড।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, জাহাজটিতে আমদানি করা সয়াবিন তেল খালাস প্রায় শেষ পর্যায়ে। খালাস শেষে সোমবার বন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

দেশে অপরিশোধিত আকারে সয়াবিন তেল আমদানি হয়। আবার আমদানি করা বীজ মাড়াই করে সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। গত অর্থবছরের হিসাবে, অপরিশোধিত আকারে প্রতি মাসে গড়ে আমদানি হয় ৬৫ হাজার টন। এ হিসাবে ২ কোটি ২৯ লাখ টন সয়াবিন তেল দিয়ে অন্তত ১০ দিনের চাহিদা পূরণ সম্ভব।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দামে অস্থিরতা শুরু হয়। আর্জেন্টিনা রপ্তানি সীমিত করার ঘোষণা এবং ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর দাম বাড়ার নতুন নতুন রেকর্ড হয়। দেশেও দাম না পেয়ে আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। আবার ঈদের পরে দাম বাড়বে, এমন চিন্তা থেকে মজুতের প্রবণতাও শুরু হয়। তাতে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়।