ভোলায় ইলিশের ছড়াছড়ি, চাঁদপুরে আকাল (ভিডিও)
মাসুমা লিসা, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ২ মে ২০২২ সোমবার
জাটকা সংরক্ষণে পাঁচটি অভয়াশ্রমে দুইমাস নিষিদ্ধ ছিল সব ধরনের মাছ ধরা। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শনিবার মধ্যরাত থেকে ফের নদীতে নামছেন চাঁদপুর, ভোলা ও লক্ষ্মীপুরসহ উপকূলীয় জেলেরা। ভোলার প্রতিটি মাছঘাট জমজমাট হলেও চাঁদপুরে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ইলিশের ছড়াছড়ি। সকাল থেকে ট্রলারে মাছ ধরে একটু পর পর ঘাটে নিয়ে আসছেন তারা।
মেঘনা পাড়ের মাছঘাটগুলোতে বেচা-কেনার হিড়িক। ঘাটে নৌকা ভিড়ানো জেলেদের হাঁকডাকে মুহূর্তেই পাইকারি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ইলিশগুলো। বিক্রি শেষে আবারো তারা চলে যাচ্ছেন নদীতে।
সেখানে এক জেলে বলেন, “মাছা ভালোই ধরা পড়ছে। এভাবে মাছ ধরা পড়লে ঈদ ভালোভাবেই করা যাবে।”
এক আড়তদার বলেন, ইলিশের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। আকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
আরেক আড়তদার জানান, ভালোই আসছে ইলিশ মাছ এবং সেগুলো মোটামুটি বড় আকারের।
অন্যদিকে চাঁদপুরের প্রায় ৫২ হাজার জেলে ইলিশ আহরণে যাচ্ছেন পদ্মা ও মেঘনা নদীতে। তবে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ অনেকে। নিষেধাজ্ঞাকালে ধার-দেনা করে সংসার চালানো এসব জেলে দেনা পরিশোধ ছাড়াও জ্বালানিসহ অন্য খরচ মিটানো নিয়ে চিন্তিত।
এক জেলে বলেন, “আমরা ঈদে সেমাই, চিনি কোনোকিছু কিনুম, আমাগো সেই তৌফিক নাই।”
আরেকজন জেলে বলেন, “আমারা জেলেরা অসহায়। আমারা যদি মাছ না পাই তবে আমাদের যা ধারদেনা রয়েছে তা মিটবে না।”
তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে কার্যকর হওয়ায় এ বছর ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।
ইলিশসমৃদ্ধ দেশ চান নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি মেনে চলা জেলেরাও। তবে তাদের সমস্যা সমাধানে সরকারি আরো বেশি পদক্ষেপও দাবি তাদের।
আরএমএ/