রাজধানীতে তেলের চরম সংকট (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ৬ মে ২০২২ শুক্রবার
দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পরও রাজধানীর বাজারগুলোতে ভোজ্যতলের সংকট চরমে। যা ঈদের পরে তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাজধানীর পাড়া-মহল্লার কোনো দোকানেই মিলছে না সয়াবিন, পাম অয়েল তেলের দেখা। ব্যবসায়ীদের দাবি-সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে রাজধানীর প্রায় সব এলাকাতেই এমন চিত্র দেখা যায়। পাড়া-মহল্লার দোকানেও নেই সয়াবিন তেলের ছিটে-ফোটা। এমনকি পাওয়া যাচ্ছে না পামওয়েল তেলও।
মোহাম্মদপুর এলাকার এক দোকান মালিক বলেন, ‘‘দোকানে কোম্পানির তেল নাই। ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকে এ অবস্থা। তেল চাইলে কোম্পানি বলে, গোডাউনে তেল নাই। রূপচাঁদা, তীর, পুষ্টি, বসুন্ধরা সবার একই অবস্থা।’’
আরেক দোকানী বলেন,‘‘ঈদের আগে থেকেই সয়াবিন তেল এবং পামওয়েল তেল পাচ্ছি না। কোনো কোম্পানি তেল দিচ্ছে না। সবার অন্যান্য প্রোডাক্ট আছে, শুধু তেলই নাই। কাস্টমার এসে ফিরে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০ জনকে ফেরত পাঠাতে হয়।’’
অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, সয়াবিন এবং পামওয়েল তেল একেবারেই নেই। ক্রেতারা তেলের জন্য এসে ফিরে যাচ্ছেন।
ক্রেতাদের প্রশ্নের জবাবও নেই তাদের কাছে। এর মধ্যে কিছু কিছু দোকানের রাইস ব্যান্ড অয়েল বা সানফ্লাওয়ার অয়েল দেখা গেছে। সয়াবিন এবং পাম অয়েল তেল না থাকায় সেই চাপ পরেছে সরিষার তেল, রাইস ব্রান্ড এবং সানফ্লাওয়ার অয়েলের ওপর। তবে সে ক্ষেত্রে বাড়তি খরচের বোঝা ভোক্তাদের ওপর।
দোকানে তেল না পেয়ে এক ক্রেতা ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘‘ব্যবসার কিছু রীতিনীতি থাকা উচিত। নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। আমরা পয়সা দিয়ে পণ্য কিনি। কিন্তু সময়মতো পাওয়া যায় না। আবার ব্যবসায়ীরা যখন মন চায় দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। কিন্তু সেটা বোধ হয় দিন দিন কমে যাচ্ছে।’’
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও। সংস্থাটির ঢাকা বিভাগীয় সহকারী পরিচালক জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘‘তেলের সংকট নেই। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছি এবং করব।’’
সার্বিক বিষয়ে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘‘বিশ্ববাজারে আজকে তেলের দাম বাড়লে, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা আজকেই দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন। বিশ্ববাজারে আজকে দাম বাড়লে তার প্রভাব তো আজই দেশে পরবে না। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে এই কাজটি করছেন।’’
এমএম/