অন্তর্ভুক্তি ও স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্ভাবনী ধারণা আহ্বান অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ৭ মে ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪৮ পিএম, ১১ মে ২০২২ বুধবার
প্রযুক্তি বিষয়ে পেশাদার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে অপো সম্প্রতি অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউট ইনোভেশন অ্যাকসেলেরেটরের ঘোষণা দিয়েছে। ব্র্যান্ডটির ভ্যালু প্রোপোজিশন ‘ইনস্পিরেশন অ্যাহেড’ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে এর মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে এবং একসাথে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে উৎসাহ প্রদানেই অপো এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইনোভেশন অ্যাকসেলেরেটর আয়োজন করেছে অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং এ প্রোগ্রামে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে আছে মাইক্রোসফট ফর স্টার্টআপস। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য বৈশ্বিক মহামারি উদ্ভূত অনিশ্চয়তার এ সময়ে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবকদের পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ নানা সমস্যা সমাধানে উৎসাহিত করা।
‘ভার্চুয়াস ইনোভেশন’ প্রতিপাদ্যে অপো দু’টি বিভাগে অংশগ্রহণকারীদের ধারণা জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যথা: অ্যাকসেসিবল টেকনোলজি ও ডিজিটাল হেলথ। অংশগ্রহণকারী দল বা কোনো ব্যক্তির জমা দেয়া প্রস্তাবগুলো যথাযথ মূল্যায়ন করে সর্বোচ্চ ১০ জন বিজয়ীর প্রত্যেককে ৪৬,০০০ মার্কিন ডলার করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি, প্রস্তাবগুলোর জন্য ভবিষ্যতে বিনিয়োগের সুযোগ, কারিগরি সহায়তা, গবেষণা ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব এবং বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে প্রচারণার সুযোগ করে দেয়া হবে।
এ নিয়ে অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান লেভিন লিউ বলেন, “অপো সত্যিকার অর্থেই ‘ভার্চুয়াস ইনোভেশন’ -এর ধারণায় বিশ্বাস করে। আমরা নিরলস নতুন প্রযুক্তি অনুসন্ধান করে যাচ্ছি, আর এক্ষেত্রে অপো ‘পিপল-ফার্স্ট’ ধারণাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা মানবতার ক্ষেত্রে বড় কিছু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছি, যাতে আমরা সবার জন্য একটি উন্নত বিশ্ব তৈরি করতে পারি।” তিনি আরও বলেন, “জনসংখ্যার বার্ধক্য ও স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা এবং ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বৈষম্যের মতো বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান প্রদান করা আমাদের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এজন্য, আমরা ইনোভেশন অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম নিয়ে এসেছি, যাতে একই মানসিকতা নিয়ে উদ্ভাবকরা প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সাথে এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারে।”
সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা
২০২২ ইনোভেশন অ্যাকসেলেরেটরের জন্য অনলাইন আবেদন পত্র গ্রহণ গত ৮ মে শুরু হয়েছে এবং তিন মাসব্যাপী প্রাথমিক মূল্যায়ন ও ডেমো ডে রোড শো’র পরে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। অপো বিজয়ী সকল দল বা ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে; পাশাপাশি, তাদের ধারণার বাস্তবায়নে ও প্রচারণায়ও সহায়তা দিবে। বিজয়ী প্রস্তাবগুলোকে নিম্নবর্ণিত সুবিধা দেয়া হবে:
আনুমানিক ৪৬,০০০ মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তা (৩০০,০০০ চীনা মুদ্রা)
অংশীদারিত্ব ও ফান্ডিং এর সুযোগ
অপোর পণ্যের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে বাণিজ্যিকীকরণের সুযোগ
প্রযুক্তি বিষয়ক বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে প্রচারণা ও প্রদর্শনের সুযোগ
অপো’র গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) দলের থেকে সহযোগিতা; পাশাপাশি, খাত সংশিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাথে দেখা করা এবং তাদের সামনে ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ
দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ বিচারক কমিটির তত্ত্বাবধানে অংশগ্রহণকারীদের চারটি বিষয়ে দক্ষতার ওপরে তাদের প্রস্তাবিত ধারণাগুলো মূল্যায়ন করা হবে। এ বিষয়গুলো হলো: সম্ভাব্যতা, উদ্ভাবন ও মৌলিক ধারণা, সামাজিক প্রভাব এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা।
সম্ভাবনাময় ধারণা খুঁজে পেতে এবং এর উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত করতে অপো প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ, অ্যাকাডেমিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি বিচারক কমিটিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এ নিয়ে মাইক্রোসফট ফর স্টার্টআপসের বৃহত্তর চীন, জাপান ও কোরিয়ার প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেমস চৌ বলেন, “বিভিন্ন শিল্পখাতে ডিজিটাল সমাধান প্রদানের ক্ষেত্রে স্টার্টআপগুলো উদ্ভাবনী প্রযুক্তির এক সম্ভাবনাময় জায়গা। “তিনি আরও বলেন, “চীনে এক দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে স্টার্টআপগুলোর জন্য একটি উন্মুক্ত ও অংশীদারিত্বমূলক প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে এবং একসাথে উদ্ভাবনে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতাভাবে কাজ করে যাচ্ছে মাইক্রোসফট ফর স্টার্টআপস। বিভিন্ন শিল্পখাতের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে এবং গবেষণা ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আমরা শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপোর সাথে কাজ করার ব্যাপারে প্রত্যাশী।”
এছাড়াও, অপো সবাইকে অসাধারণ ও সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনের ধারণাগুলোকে ইনোভেশন অ্যাকসেলেরেটররের বিচারক কমিটির বিবেচনার জন্য রেফার করতে উৎসাহিত করার জন্য একটি পৃথক রেফারেল অ্যাওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করেছে। এক্ষেত্রে, আবেদন গ্রহণ পর্যায়ে অপোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেফারেল সাবমিট করা যাবে।
‘ইনস্পিরেশন অ্যাহেড’ বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে সমমনা অংশীদারদের সাথে অপো
২০২০ সালের শুরু থেকে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদূর্ভাব বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনকে ব্যাহত করেছে। সেই সাথে, প্রযুক্তিগত দ্রুত ক্রমবিকাশের সাথে তাল রাখতে না পেরে কিছু সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়ছে, যা তাদের জন্য তৈরি করছে নতুন চ্যালেঞ্জ। ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ -এই ব্র্যান্ড মিশনের মাধ্যমে সমাজের প্রতি নিজ দায়বদ্ধতা এবং প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অপো আশা করে, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো এবং এরূপ অন্যান্য সমস্যাগুলোকে তারা সমাধান করবে, যার ফলে আরো অধিক সংখ্যক মানুষের জন্য আরো বেশি সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
‘ভার্চুয়াস ইনোভেশন’ -প্রসঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলনের মাধ্যমে অপো অ্যাক্সেসিবল টেকনোলজি এবং ডিজিটাল হেলথ খাতে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা সঞ্চয় করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীদের তথ্যের গভীর পর্যবেক্ষণ এবং এর প্রায়োগিক দিক সমূহ। এর মধ্যে আছে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যবহারকারীদের জন্য যথাযোগ্য নকশা তৈরি ও প্রয়োগ। উদাহরণস্বরূপ, ফাইন্ড এক্সথ্রি সিরিজে কালার ভিশন এনহ্যান্সমেন্ট প্রযুক্তির উল্লেখ করা যায়, যা কালার ভিশন ডেফিশিয়েন্সি’র ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সহায়তা করে। কালারওএস অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য প্রোডাক্টের মাধ্যমে অপো বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে নকশাকৃত ইউজার ইন্টারফেসও চালু করেছে, যাতে তারা প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করতে সক্ষম হন।
বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উভয় ক্ষেত্রেই উদ্ভাবনী ডিজিটাল স্বাস্থ্য পণ্য বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে অপো পেশাদার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং ক্রীড়া একাডেমির সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অপো হেলথ ল্যাবও প্রতিষ্ঠা করেছে। অপো’র প্রত্যাশা, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে তারা জনস্বাস্থ্যের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
একটি একক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গোটা বিশ্বকে পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা সীমিত, এ ব্যাপারে অপো অবগত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করে যে, ইনোভেশন অ্যাক্সেলারেটরের মাধ্যমে তারা অন্যান্য সমমনা ব্যক্তি, দল এবং সংস্থার সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য উচ্চ-সম্ভবনা সম্পন্ন সমাধানগুলি চিহ্নিত এবং বিকশিত করতে পারবে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি তাদেরকেই উপকার করতে পারে, যাদের এই উপকারের প্রয়োজন সবচাইতে বেশি। অপো ইনোভেশন অ্যাক্সেলারেটরকে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তৈরি করতে চায়, যা বিশ্বের প্রখরতর বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে জনসাধারণের কঠিন থেকে কঠিনতর সমস্যাগুলোর জন্য সেরা সব সমাধান বের করে আনবে, যার ফলে আরও অধিক সংখ্যক মানুষ ভার্চুয়াস ইনোভেশন থেকে উপকৃত হবেন।
অপো ইনোভেশন অ্যাকসেলেরেটরের জন্য আবেদন জমার সময়সীমা ০৮ মে থেকে ৩০ জুন, ২০২২ পর্যন্ত। প্রস্তাবনা জমা দিতে, রেফার করতে বা এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে আরও জানতে, অনুগ্রহ করে অপো’র ইনোভেশন অ্যাকসেলেরেটর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – oppo.com/en/proposal ভিজিট করুন।
আরকে//