রবীন্দ্রনাথকেও সাম্প্রদায়িক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল (ভিডিও)
আদিত্য মামুন, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৪ এএম, ৮ মে ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ৮ মে ২০২২ রবিবার
কবি সার্বভৌম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী আজ। মানবিক বিশ্ব বিনির্মাণের অন্যতম অধিষ্ঠাতাও তিনি। কবির দর্শন ও নন্দনচিন্তায় সমুজ্জ্বল শুদ্ধচিন্তা ও বিশ্বমৈত্রী।
বাঙালি বলতেই মানসপটে যার চিত্র ভেসে ওঠে তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলার সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও প্রথায় পরিণত হয়েছেন তিনি।
তাঁর ভাষা বাংলা আর এই ভাষা দিয়েই তিনি যে চেতনা এনেছেন তা আন্তর্জাতিক। শুধু শিল্প-সাহিত্যই নয়- তাঁর সত্ত্বা প্রোথিত কৃষি, সমবায় এমনকি পল্লীব্যাংক ধারণাতেও।
রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল বলেন, “রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজের যত টাকা তার অধিকাংশ টাকা দিয়ে তিনি পল্লী ব্যাংক স্থাপন করেন।”
গান-কবিতা, ছোটগল্প-উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, নাটক কিংবা অভিনেতা রবীন্দ্রনাথ ছিলেন চিত্রশিল্পীও। এনেছিলেন শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন।
অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল আরও বলেন, “রবীন্দ্রনাথের মনের মানুষ ছিলেন শিল্পী মানুষ। নিজেও শিল্পী হিসেবে সেই মানুষকে তিনি সৃষ্টিশীল লেখায় বিশেষ করে শেষের দিকে নিয়ে এসেছেন।”
বাংলার প্রকৃতিই তাঁকে দিয়েছে সুষমা, প্রেরণা। এই রবীন্দ্রনাথকে তাঁর সময়েও সাম্প্রদায়িক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এই বাঙলাতেও তাঁকে নিষিদ্ধ করেছিল মৌলবাদীরা।
কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক অসীম সাহা বলেন, “বাংলাদেশকে যাতে মৌলবাদী ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া যায় সেই চেষ্টার একটা অংশ পারলে জাতির পিতাকে বদলে দেয়, রবীদ্র সঙ্গীত ও আমাদের জাতীয় সঙ্গীতকে বদলে দেয়। এমনকি তারা এটা বলতে চেষ্টা করছে যে, নজরুল হচ্ছে ভারতীয় কবি, তিনি জাতীয় কবি হতে পারেন না।”
যারা শুভবোধ ও প্রগতিকে ভয় পায় তারাই বাঁধা দিতে চায় রবীন্দ্রনাথকে।
অসীম সাহা আরও বলেন, “অন্ধত্ব থেকে রবীন্দ্রনাথের বিরোধিতা করছেন।”
মৌলবাদীরা যতই চেষ্টা করুক কবিগুরু নিজের গুণেই বাঙালির জীবনে চিরঅধিষ্ঠিত থাকবেন বলে মত সবার।
এএইচ/