শোয়েবের মৃত্যু: সন্দেহের তীর স্ত্রীর দিকে (ভিডিও)
রাসেল খান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৪ এএম, ১০ মে ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫৭ এএম, ১০ মে ২০২২ মঙ্গলবার
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক শোয়েব সাজ্জাদের মৃত্যুর পেছনে তার স্ত্রীর হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পরিবার। তাদের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা। আর পুলিশ বলছে, নিহতের স্ত্রী সাবরিনার সন্ধান মিললে জানা যাবে ঘটনার আদ্যোপান্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাঙালিপাড়ায় আলোচিত ছিলেন শেখ শোয়েব সাজ্জাদ। মুক্তিযুদ্ধের অনুষ্ঠান, বইমেলাসহ সব ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
কিছুদিন আগে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। এরপর গত ৩০ এপ্রিল শ্বশুরের বনানীর বাসায় মেলে শোয়েবের ঝুলন্ত মরদেহ।
অনুসন্ধান বলছে, শোয়েবের স্ত্রী সাবরিনার হাত রয়েছে মৃত্যুর নেপথ্যে। ২০১৬ সালে শোয়েব-সাবরিনার বিয়ে হয়েছিল। অতঃপর ভালোই কাটছিল তাদের সাংসারিক জীবন।
কিছুদিন বাদে আবিষ্কার হয় সাবরিনার ভিন্ন সম্পর্ক। সংসারে অশান্তির সূত্রপাত সেখান থেকেই। এতোদিন লোকলজ্জার কারণে মুখ খোলেননি শোয়েব।
শোয়েব সাজ্জাদের মা বলেন, “বাংলাদেশে আসার জন্য শ্বশুর বললে শোয়েব জানায় বাবা আমি যাব না, আমাকে মেরে ফেলা হবে। তখন সে বলে কেউ মারবে না, তোমার দায়িত্ব আমি নিব।”
ব্যাপারটি নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার বসা হয়েছে। অতঃপর গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শ্বশুর সাখাওয়াত হোসেনের আশ্বাসে এ বছরের মার্চ মাসে দেশে ফেরেন শোয়েব সাজ্জাদ। দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে যা আয় করেছিলেন কৌশলে তা নিয়ে নেন স্ত্রী আর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
রোজার ইদের পর আমেরিকায় ফিরতে চেয়েছিলেন শোয়েব। ফেরত চেয়েছিলেন গচ্ছিত টাকার কিছু অংশ। এরইমধ্যে শ্বশুরবাড়িতে শোবার ঘরে মিলল তার লাশ। ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা স্ত্রী সাবরিনা।
শোয়েবের বাবা বলেন, “আমেরিকার অ্যাম্বেসি আছে, তাদের নাগরিক সম্পর্কে তারা হিসাব করবে। আমরা ঘটনার বিচার চাই।”
আলোচিত মৃত্যুর ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছে শোয়েব সাজ্জাদের পরিবার। তাতে অভিযুক্ত হয়েছে স্ত্রী সাবরিনা ও তার বন্ধু কাজী ফাহাদ।
গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, “এজাহারে দ্বিতীয় আসামি কাজী ফাহাদকে গ্রেফতারপূর্বক ইতিমধ্যে আদালতে প্রেরণ করেছি। রিমান্ড চেয়েছিলাম কিন্তু জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছি। একই সঙ্গে এই মামলার এক নম্বর আসামি ভিকটিমের স্ত্রীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।”
তবে ঘটনাটি হত্যা, সাজানো আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
এএইচ/