ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিশ্বমণ্ডলে প্রথম পিতা হত্যার বিচার চান শেখ রেহানা (ভিডিও)

অখিল পোদ্দার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ১০ মে ২০২২ মঙ্গলবার

১৯৭৯ সালের ১০ মে। সুইডেনের স্টকহোমে মুজিবকন্যা শেখ রেহেনা বিশ্ববাসীর কাছে প্রথমবারের মতো পিতা হত্যার বিচার চাইলেন।

জাতির পিতা শেখ মুজিব হত্যার পর অনেকদিন প্রতিবাদ করেননি কেউ। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করেছিল তৎকালীন সরকার। 

১৯৭৯ সালের ১০ মে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিশ্বমানবতার কাছে প্রথমবারের মতো বিচারের দাবি ওঠে। সর্ব ইউরোপীয় বাকশাল আয়োজিত আন্তর্জাতিক সে সম্মেলনে পিতা হত্যার বিচার দাবি করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহেনা। 

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান শরিফ বলেন, “আব্দুর রাজ্জাক সাহেব আমাদেরকে প্রস্তাব দেন যে তিনি সুইডেনে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স করবেন। যে কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাওয়া হবে।”

শেখ হাসিনা তখন ছিলেন ভারতে। তাঁর পরামর্শে শেখ রেহানা স্টকহোমের সভায় পিতা হত্যার বিচার চাইলেন।

সর্বইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “৭৫’র মর্মান্তিক পৈশাচিক ঘটনার বিবরণ দিয়ে তার আবেগঘন বক্তব্য ছিল সেদিন হলে। সেখানে শুধু বাঙালিরাই নন উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক এবং সুইডেনের বেশ কয়েকজন পার্লামেন্ট মেম্বার, বিদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সবার উপস্থিতিতে তার আবেগঘন বক্তব্য সেদিন সবাইকে কাঁদিয়ে ছিল।”

সেদিনের পুরো ঘটনা শেখ রেহানার কাছে বসে শুনেছেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ও মানবাধিকার কর্মী নজরুল ইসলাম।

নজরুল ইসলাম বলেন, “তিনি বিস্তারিত জানালেন এবং পরবর্তী পর্যায়ে ওই দিনের একটি ছবি দিলেন।”

সে দিনের ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ।

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে কনফারেন্স করি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। অবস্থাটাই এই ছিল যে, আমরা সুইডেন সরকারের সহযোগিতা যদি না পেতাম তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবি সারা বিশ্ববাসীর কাছে প্রচার করার সুযোগ আমরা পেতাম না। এই কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের উপরও দাবি উত্থাপন করি।”

বিশিষ্ট দুই রাজনীতিক জোর দিয়েই বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের ছিল না বাকস্বাধীনতা। চরম সে দুর্দিনে শেখ রেহানা পিতা হত্যার বিচার দাবি বিশ্বমানবতাকে জাগিয়ে তুলেছিল। আর তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর বাতিল হয় কুখ্যাত ইনডেমনিটি। 

আর ২০১০ সালে ফাঁসির রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি হয় কলঙ্কমুক্ত।

এএইচ/