শেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ১০ মে ২০২২ মঙ্গলবার
শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার চাঞ্চল্যকর এক মামলায় ফুরকান আলী (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসাথে মামলার অপর ৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
ফুরকান আলী শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের চেল্লাকান্দি লএলাকার ময়দান আলীর ছেলে।
মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন ফুরকান। একইসাথে মামলার অপর ৩ আসামি ফুরকানের বাবা ময়দান আলী (৫৯), মা ফুলেতন বেগম (৪৯) ও আত্নীয় সওদাগর আলী (৬১)কে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুালের পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ২০১১ সালের ২ জুলাই রাতে যৌতুকের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে এক সন্তানের জননী ও শ্রীবরদী উপজেলার বড়গেরামারা এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে জহুরা বেগমকে (২৩)কে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখেন পাষণ্ড স্বামী ফুরকান আলী।
ওই ঘটনায় পর দিন ফুরকান আলী, তার বাবা-মা ও ২ আত্নীয়সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেন জহুরা বেগমের বড় ভাই ফজলুল হক।
পরবর্তীতে তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ নভেম্বর ফুরকানের আত্নীয় আজিজুর রহমান ব্যতীত ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন শ্রীবরদী থানার এসআই নুরুল আমিন খান। পরবর্তীতে একমাত্র ময়দান আলী হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হলেও অপর ৩ আসামিই পলাতক থাকেন।
ফলে মামলার বিচার নিষ্পত্তিতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘসূত্রিতা।
মামলায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ফুরকান আলীকে এই দণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া একই আইনে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপরাপর আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।
এএইচ/