ডেসটিনির মানিলন্ডারিং মামলা: সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৬ এএম, ১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার
ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং আইনের দুই মামলার মধ্যে একটির রায় ১২ মে, বৃহস্পতিবার।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
গত ২৭ মার্চ দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।
রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম। আসামিপক্ষ বলছে, ‘দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কাজেই তারা খালাস পাবেন।’
২০১৪ সালের ৪ মে দুই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় আসামি ৪৬ জন এবং ট্রি প্ল্যানটেশন মামলায় আসামি ১৯ জন। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ১৪ জনের নাম দুই মামলায় থাকায় মোট আসামি ৫১ জন। যাদের মধ্যে রফিকুল আমীন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম গত দশ বছর ধরে কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন আসামি লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন), জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম রুবেল। বাকী ৪৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন।
পলাতক আসামিরা হলেন, ডেসটিনির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, মো. শফিউল ইসলাম, ওমর ফারুক, সিকদার কবিরুল ইসলাম, মো. ফিরোজ আলম, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির (বিপ্লব), এএইচএম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. শফিকুল হক।
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন বলে মামলা সূত্রে জানা যায়।
মামলাটিতে চার্জশিটে থাকা ৩০৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। অন্যদিকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন মামলায় চার্জশিটে ২৩৭ জন সাক্ষী রয়েছে। যার মধ্যে বাদীসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর এ মামলায় আর কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য হয়নি।
এসএ/