ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৬ ১৪৩১

কর্মকর্তা ছাড়াই চলছে মিরসরাই ভেটেরিনারি হাসপাতাল

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৩১ এএম, ১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার

মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কর্মকর্তা ছাড়াই চলছে সেবা কার্যক্রম। চলতি বছরের মার্চ মাসে বদলি হয়ে চলে যান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা যোগদান করেনি সরকারি এই দপ্তরে। ফলে চরম বিপাকে পড়ছেন খামারী ও সাধারণ মানুষ।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় গরু রয়েছে ৯৫ হাজার ৬৭৭টি, মহিষ ৪ হাজার ৭২৫টি, ছাগল ২৬ হাজার ৫২৯টি, ভেড়া ২ হাজার ৪৭৬টি, ৪ লাখ হাঁস, ৫ লাখ ৮৫ হাজার মুরগি ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য গৃহপালিত কুকুর ও বিড়াল।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে রোগাক্রান্ত গাভীর সেবা নিতে আসা মিরসরাই পৌরসভার নাজিরপাড়া গ্রামের করিম বলেন, “৩ দিন ধরে গাভীটি বাতে আক্রান্ত। প্রতিদিনই এখানে আসি, এসে শুনি দায়িত্বরত ডাক্তার নাই। যিনি আছেন তিনি নাকি মুমূর্ষ কোন পশুর চিকিৎসা দিতে কারও বাড়িতে গেছেন। এ ভোগান্তি দ্রুত সমাধান দরকার। না হলে লোকসানে পড়বেন খামারীরা।”

উপজেলার ডেইরি খামার এসোসিয়েশনের সভাপতি হেদায়েত উল্ল্যাহ বলেন, “পূর্বের কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পরে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নারী কর্মকর্তা নিয়মিত অফিসে আসেননা। তাতে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। অস্ট্রেলিয়ান গাভী বাচ্চা দিলে প্রাণিসম্পদ অফিসার ছাড়া এগুলো রেকর্ড করা সম্ভব হয় না।”

এ বিষয়ে প্রাণীসম্পদ হাসপাতালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তাহমিনা আরজুকে মুঠোফোনে কল করে ও বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “মিরসরাই উপজেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, এখানে অনেক খামার রয়েছে। মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে খুব শীঘ্রই স্থায়ী কর্মকর্তা দেওয়া হবে এখানে।’

এএইচ/