ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আলোর মুখ দেখেনি ঢাকা-চট্টগ্রাম নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ প্রস্তাব (ভিডিও)

রফিকুল বাহার, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার

দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবাহিত হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি। অর্থনৈতিক এই প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মহাসড়কের উপর গুরুত্ব দেওয়ার দাবি দেশের শীর্ষস্থানীয় আমদানি-রপ্তানিকারক ও শিল্পপতিদের।

২৬৪ কিলোমিটারের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ২০০৫ সালে চার লেন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ২০১৭ সালে উন্মুক্ত করা হয়। এই সড়কে এখন প্রতিদিন গড়ে ১৬ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। দেশের ৬০টি জেলার পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম এই মহাসড়ক। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাস ও সরবরাহে প্রতিদিন ১০ হাজার ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-প্রাইমওভার যাতায়াত করে এই মহাসড়কে। প্রতিবছর দেশে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের চাহিদা বাড়ছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে। 

কেডিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান বলেন, “যখন চারলেনের হাইওয়ে করতে ছিলাম, তখনই কিন্তু ১২ লেন করা উচিত ছিল।”

দূরত্ব বিবেচনায় তিন ঘণ্টার পরিবর্তে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এখন চলাচল করতে সময় লাগে দ্বিগুণেরও বেশি। 

বিজিএমইএ সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ঢাকা-চিটাগাংয়ে একটা ডেডিকেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা খুবই জরুরি। এটা আমাদের প্রস্তাবনা ছিল।”

কেন এই প্রস্তাব আলোর মুখ দেখেনি তা নিয়েও চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় আমদানি-রপ্তানিকারকদের অনেক ক্ষোভ ও আক্ষেপ।

বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবর আলী বলেন, “সরকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করতে যাবে পাবলিক সেক্টরে। তারপর শুনলাম যে চাইনিজ ইনভেস্টার আছে, তারা এই হাইওয়ে ইনভেস্ট করবে। কিন্তু দুই মাস আগে শুনলাম যে, এটা বাতিল হয়ে গেছে।”

পিএইচপি ফ্যামিলি’র চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমান বলেন, “স্বাধীনতার পরের দিন থেকে যদি আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম অনওয়ে রাস্তাগুলোকে হাইওয়ে ৬ লাইন বা ৮ লাইনে করতে পারতাম তাহলে আজকে যে প্রবৃদ্ধি তার থেকে ৫ গুণ বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারতাম।”

ছয় লেন হবে এই মহাসড়কটি নাকি চার লেনের রাস্তার মাঝখানে ফ্লাইওভারের মতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে সে বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত আসতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলে জানালেন সরকারি এই কর্মকর্তা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বলেন, “রাস্তার সম্প্রসারণ এবং এটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য সক্রিয় বিবেচনায় আছে সরকারের।”

এক সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, প্রতি কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মাণের খরচ প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। সে হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ধরনের নির্মাণের খরচ দাঁড়াতে পারে আনুমানিক ৬০ হাজার কোটি টাকা।

এএইচ/