শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ উত্তরের বর্ধিত সভা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫৯ পিএম, ১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৫৯ পিএম, ১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার
১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগের নেওয়া কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ মহানগর যুবলীগ কার্যালয়ে শেখ হাসিনার ৪২ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগের আলোচনা সভা সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্র, বিপথগামী কিছু সেনার সহায়তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান। তিনি মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা, দেশপ্রেমিক অনেক সৈনিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন।
মাইনুল হোসেন বলেন, তিনি জামাতকে এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের মন্ত্রীত্ব দিয়েছে, তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করেছেন। জিয়াউর রহমান এদেশের যুবসমাজকে মাদক আর অস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সন্ত্রাসী ক্যাডাররা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ভূলণ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময়ে আলোর ঝলকানি হয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করে ফিরিয়ে এনেছেন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দাঁড়িয়েছেন নিপীড়িত শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পাশে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন-১৭ মে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগের গৃহীত কর্মসূচি সফল করবেন। জামাত-বিএনপি দেশকে নিয়ে নানা মুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের সকল ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে শক্ত অবস্থানে থাকবো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সঞ্চালনা করেন-যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসবিরুল হক অনু।
এসি